অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলা ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটর এই রায় দেন। এর আগে ৩৪ বছর বয়সী সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা অভিযোগ করেন ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে পর্তুগিজ অধিনায়কের সঙ্গে মায়োরগা অর্থের বিনিময়ে কোর্টের বাইরে একটি সমঝোতা করেন। যাতে তিনি এ ব্যাপারে আর মুখ না খোলেন। তবে ২০১৮ সালে মায়োরগা ফের মামলা চালু করেন। কিন্তু বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসা রোনালদো জানিয়েছিলেন, দু’পক্ষের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।
সোমবার (২২ জুলাই) এক বিবৃতিতে লাস ভেগাস প্রসিকিউটর জানান, রোনালদোর বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রমাণ না থাকায় তাকে চার্জ করা হচ্ছে না।
দ্য ক্লার্ক কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস থেকে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে বা কে ছিল আক্রমণকারী। এর ফলে পুলিশ কোনো অর্থপূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করতে পারেনি।
এর আগে জার্মানির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ডের স্পাইগেল গত বছর এই অভিযোগ নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে। সেখানে জানানো হয়, ২০১০ সালে কোর্টের বাইরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারে সমঝোতা করেছিল দু’পক্ষ। সে সময় রোনালদো ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন।
চস/আজহার