spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতে উঁচু এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে

এমনিতেই বন্যার কারণে নাজুক সিলেটের পরিস্থিতি। এর মধ্যেই অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নাকাল সিলেটের মানুষ। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের অনেক এলাকায় নতুনভাবে পানি প্রবেশ করেছে।

সরেজমিনে সিলেট নগরের মদীনা মার্কেট, সুবিধবাজার, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার, বন কলাপাড়া আম্বরখানা, চৌহাট্টাসহ অনেক উঁচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশের কারণে এসব এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কিত দেখা গেছে।

নগরের সুবিদবাজারের বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, এত প্রবল স্রোতে সিলেট নগরীতে পানি প্রবেশ করতে এর আগে দেখিনি। এসব পানি হয়ত পাহাড়ি ঢলের কারণে আশপাশের উপজেলা তলিয়ে নগরীতে প্রবেশ করেছে।

ঘণ্টাখানেক সময়ে বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়া নগরের ড্রেন-রাস্তা উপচে পানি প্রবেশ করায় অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা।

নগরীর দরগা মহল্লা এলাকায় স্থানীয় জাফরান রেস্টুরেন্টে কর্মরত জাফর আলী বলেন, এই এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করে না। সকাল ৯টা থেকে অবিরাম ভারী বর্ষণে এই এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। ড্রেন উপচে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করে। আর পানি বাড়লে আমার হোটেলেও পানি প্রবেশ করবে। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে আমাদের সময়।

নগরের বাগবাড়ির বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, এতো ভয়াবহ পরিবেশ আমি এর আগে দেখিনি। বন্যা হয়ে পানি বেড়েছে কিন্তু এরকম উজানি ঢল আর বৃষ্টিপাত একসাথে দেখিনি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল এক ১০৮.৭ মিলিমিটার। সেখানে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৫৭ মিলিমিটার। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ছিল ৪৭ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল ১১০ মিলিমিটার। আজ আরও বৃষ্টি হবে বলে। আর এই অবস্থা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss