করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ জন করোনা রোগী। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১০টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৯৯-এ দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ১৩ হাজার ৮৬০টি নমুনা সংগ্রহ করে ১৩ হাজার ৬১১টি পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৯২ হাজার ৩২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৫৪২ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৪১-এ দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ। ১৮ অক্টোবর ১৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় পাঁচ মাসের মধ্যে দৈনিক হিসাবে এটাই সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে গত ২৮ মে দেশে ১৫ জন এবং ১৭ মে ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরো পড়ুন: ওমেন্স টি-২০: ভাল করতে চান সালমা-জাহানারারা
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৪৪ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে চারজন নারী ও ১৪ জন পুরুষ। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, পাঁচজনের বয়স ৫১-৬০ ও দুজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা, তিনজন চট্টগ্রাম, একজন খুলনা ও দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।
চস/স