spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

পুরো বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ‘কঠোর নির্দেশনা’ জারি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের জন্য কিছু ‘কঠোর নির্দেশানা’ জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ওই ঘোষণা পত্রটি প্রকাশ করা হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষণা পত্রে বলা হয়, যেহেতু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হলো, পরস্পর হতে পরস্পরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা।

আরো পড়ুন: আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত হলো চট্টগ্রামে

জনসাধারণকে একে অপরের সাথে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়, ‘যেহেতু, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেকারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলো।’

সংক্রমিত এলাকাগুলোর জনসাধারণের জন্য কিছু কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্দেশনাগুলো হল-

• করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।

• এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো।

• সন্ধ্যা ৬টা হতে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো প্রয়োগ করতে পারবে।

চস/সোহাগ

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss