spot_img

১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৬

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুলগাঁও খলিল শাহ মাজার সংলগ্ন একটি বাড়ির দোতলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আসিফ (২২), মো. হাসান (২০), মো. ফয়সাল (১৯), মো. আজিম উদ্দিন (২৩), মো. রিফাদ (১৯) এবং মো. জুয়েল (২০)।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ৬ জন নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি দেশি এলজি, ড্রিল মেশিন, কাটার মেশিন, কিরিচসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত বায়েজিদ এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই ৬ জনকে গ্রেপ্তারে অভিযানের খবর পেয়ে আরও ৩ থেকে ৪ জন পালিয়েছে। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আসিফ নামে যে ডাকাত রয়েছে তিনি হচ্ছেন সর্দার। ওই এলাকায় তার নেতৃত্বেই ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।

তিনি আরও বলেন, অতি সম্প্রতি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেই ফেলেছিলাম। কিন্তু সে পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। আমরা তার ব্যাপারে সবসময় সক্রিয় রয়েছি। ইতোপূর্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তার ওপর আমাদের নজরদারি রয়েছে।

চস/স

বইমেলায় অরণ্য সৌরভের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘদীপা দাস’

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে অরণ্য সৌরভের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘদীপা দাস’। বইটি প্রকাশ করছে প্রকাশনা সংস্থা দূরবীণ। ‘মেঘদীপা দাস’ বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন পরাগ ওয়াহিদ।

প্রকাশক জানান, বইটি ইতোমধ্যে রকমারি, প্রথমা-তে প্রি অর্ডার শুরু হয়েছে। বইমেলায় বইটির একমাত্র পরিবেশক কিংবদন্তী পাবলিকেশনের ৭৫-৭৭ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে। বইটির প্রচ্ছদ মূল্য ৩৩৩ টাকা।

মেঘদীপা দাস কাব্যগ্রন্থ নিয়ে অরণ্য সৌরভ বলেন, প্রতিটি কবিতা আত্মার একটি টুকরো, যা হৃদয়গহীন থেকে উচ্চারিত। যা আকাঙ্ক্ষা এবং পরিপূর্ণতার কথা বলে। একইসাথে প্রতিটি কবিতা-প্রেম খুঁজে পাওয়া ও হারিয়ে যাওয়া এবং প্রতিশ্রুতির কথা বলে। দেখবেন, আপনি একজন রোমান্টিক-বিরহী প্রেমিক-প্রেমিকা, হৃদয়ের গভীরতায় খুঁজে পাচ্ছেন নিজের সান্ত্বনা, অনুপ্রেরণা, বিরহ ব্যথা এবং প্রেমময় গভীর উপলব্ধি। পাঠ করতে গিয়ে কখনো কখনো খটকা লাগবে, কারণ এই কাব্যগ্রন্থের বেশ কয়েকটি কবিতায় খুঁজে পাবেন জীবনানন্দের সুর।

তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, পাঠক যখন পৃষ্ঠাগুলো উল্টাবে, চরণে চরণে তাদের হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি এবং অভিজ্ঞতার আয়না খুঁজে পাবে। কবিতাগুলো তাদেরকে সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে, যা একসময় তাদের আত্মাকে স্পর্শ করেছিল এবং করছে।

অরণ্য সৌরভের প্রত্যাশা এই কাব্যগ্রন্থটি কেবল আপনার হৃদয়কে আলোড়িত করবে না; বরং পুরোনো স্মৃতি এবং আবেগকে পুনরুজ্জীবিত করবে, যা আমাদের অস্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করে।

চস/আজহার

আন্দোলনে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেন রাজনৈতিক নেতারা

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশি বর্বরতায় সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তারা বেশকিছু উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক রিপোর্টে এসব জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অফিসারদের চেয়ে রাজনৈতিক নেতারাই বেশি ঠিক করে দিতেন বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। ৫০ পাতার রিপোর্টে পুলিশের বয়ানে উঠে এসেছে সেই সময়কার নির্দেশদাতা এবং অপরাধের নমুনা।

‘আফটার দ্য মনসুন রেভলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, অতীতে কীভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের নানা দিকও উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এইচআরডব্লিউকে জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের বিদ্রোহের সময় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকেই এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অস্থিরতার সময় পুলিশের ভূমিকা মাঠপর্যায়ের অফিসারদের চেয়ে রাজনৈতিক নেতারাই বেশি নির্ধারণ করে দিতেন।’

আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা এইচআরডব্লিউকে বলেছেন, তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সিনিয়র অফিসারদের লাইভ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে দেখেছেন এবং প্রতিবাদকারীদের গুলি করার জন্য অফিসারদের সরাসরি এমনভাবে নির্দেশ দিতে দেখেছেন যেন ‘তারা কাউকে ভিডিও গেমে গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছেন।’

আন্দোলনের সময় ১৮ বছর বয়সি আমির হোসেন পুলিশের হাতে ধরা পরে। এসময় তারা বিল্ডিং থেকে লাফ দিতে বলে। হিউম্যান রাইট ওয়াচকে আমির বলেছেন, ‘পুলিশ যখন আমার দিকে আসছিল, তখন ধরা পড়ে যাবার ভয়ে আমি নির্মানাধীন একটা বিল্ডিংয়ে উঠি। যখন আমি চারতলায় পৌঁছাই তখন পুলিশ আমাকে লাফ দিতে বলে। আমি জানি যদি এখান থেকে পরে যাই তবে, আমি মারা যাব। চারতলায় তাই একটি রডে ঝুলে থাকার চেষ্টা করি। একজন পুলিশ অফিসার আমার দিকে ছয় রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ততক্ষণে আমি তিন তলার ঝুলছিলাম। এসময় অনেক পুলিশ আমার পায়ে আঘাত করছিল। পরে তারা চলে যায়। আমার তখন অনেক ব্যথা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে তিনতলা থেকে লাফ দেই। তখন আমার একটি পা ভেঙে যায়। আমি এখনও বুঝতে পারি না কেন তারা আমাকে ধাওয়া করে গুলি করল!’

গুলি করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পুলিশের একজন অফিসার বলেছেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদেরকে কঠোর হতে এবং ‘নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কোনও অপরাধী’কে রেহাই না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারা স্পষ্টভাবে ‘গুলি করো’ শব্দটি ব্যবহার করেননি, তবে তাদের নির্দেশাবলী স্পষ্ট ছিল: সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করুন, আপনি যা প্রয়োজন মনে করেন তা করুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিন।’

তিনি এইচআরডব্লিউকে বলেন, আন্দোলনের সময়কার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও সরাসরি পুলিশের বর্বরতার সাক্ষী হতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগস্টে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছেন, ‘গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা…বাকিডি যায় না স্যার।’

চস/স

২০২৪ সালে দেশে ২৬ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ড

বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাসসংক্রান্ত কারণে প্রতিবছরই দেশে অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে। এদিকে ২০২৪ সালে সারাদেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১৪০ জন নিহত এবং ৩৪১ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, গেল বছরে সারাদেশে এই অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে। অগ্নিকাণ্ডে সারাদেশে ৩৪১ জন আহত এবং ১৪০ জন নিহত হয়েছেন।

আগুন নির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ফায়ার সার্ভিস এর ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অগ্নিকাণ্ডের কারণের বিষয় তুলে ধরে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮%), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২%), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬%), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪%), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫%), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশ বাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাসাবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৬.৭৪ শতাংশ। এছাড়া খড়ের গাদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২%), রান্নাঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪%), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিং মলে ৪৮১টি, পোশাক শিল্প ব্যতীত কলকারখানায় ৪৯৪টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৩৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনের আগুন (৬ তলার উপরে) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাট গুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে সারাদেশে বাস বাদে যানবাহনে ২৬৮টি, বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাসভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে ২৭৩৭টি, মার্চ ৩৪২১টি, এপ্রিল ৩৪২৬টি, মে মাসে ২৬৮৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই চার মাসে গড়ে প্রতিদিন ১০২টি করে আগুন লেগেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২৫১৪টি, জুলাই মাসে ১৪২৭টি, আগস্ট মাসে ২১৬৩টি আগুন লাগে।

অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২৩৭ ও নারী ১০৪ জন। নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী।

আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসা-বাড়ি/আবাসিক ভবনে (আহত ৭২, নিহত ৩৬), গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (আহত ৫৩, নিহত ৮) এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে (আহত ৭৮, নিহত ৪৭) আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন।

এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে সারাদেশে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫৬ জন আহত এবং ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। আরও ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি, ২২৭টি প্রাণী উদ্ধার করে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ৯ হাজার ১২৮টি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ১০ হাজার ৮২৬ জন আহত এবং ২ হাজার ৪৩৭ জন নিহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৩১৯ জন আহত এবং ১ হাজার ৪৮৪ জন নিহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

সারাদেশে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এই মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অগ্নিদুর্ঘটনা কমানোর জন্য সারাদেশে জনগণকে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৮৯৮৩টি মহড়া, ৩০৩৬টি সার্ভে, ১৫৬৮৪টি গণসংযোগ করেছে। এছাড়া সারাদেশে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে ৭৭৬৯টি প্রশিক্ষণের মাধ্যেমে ১,৪৭,৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অপরদিকে ২০২৪ সালে শুধুমাত্র পোশাক শিল্প কারখানায় ৩৯২১টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১,৫৬,৮৪০ জন পোশাক শ্রমিককে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

চস/স

নেতাদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সমঝোতার বৈঠক শেষ, চলছে না ট্রেন

ট্রেন চালু করতে সমঝোতার বৈঠক শেষ হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আপাতত ট্রেন চলার কোনো খবর নেই। তাই সারাদেশে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধই থাকছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকল পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফায় দুই ঘণ্টার বেশি বৈঠক চললেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করা যায়নি।

কর্মবিরতি থেকে সরে আসতে রানিং স্টাফদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মো. ফাহিমুল ইসলাম।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, রেলওয়ে স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে জনশূন্য। প্ল্যাটফর্মে থাকা ট্রেনগুলোর প্রতিটি দরজা লাগানো। আর রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমের সামনে অপেক্ষামান যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে রেলপথ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ রুটসমূহে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করেছে।

উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যার ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।

চস/স

বাংলাদেশকে ৫টি টহল নৌযান উপহার দেবে জাপান

বাংলাদেশকে উপকূলীয় এলাকায় টহলের জন্য পাঁচটি টহল নৌযান (প্যাট্রল ভেসেল) সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এসব বিষয় জানান।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশকে পাঁচটি টহল নৌযান (প্যাট্রল ভেসেল) দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। পাশাপাশি বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত রয়েছে দেশটি।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাপানি রাষ্ট্রদূত জাপানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন যে, আসন্ন সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রাজনৈতিক সমর্থনের বার্তা দেয়া হবে।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত পরামর্শ বৈঠক (এফওসি) আয়োজন এবং দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আগামী মার্চে জাইকা প্রধান বাংলাদেশ সফর করবেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে একটি স্থায়ী সমাধানে জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন তিনি।

রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ফলে বাংলাদেশের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে দোহায় জাতিসংঘের সহযোগিতায় হতে যাওয়া রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক সম্মেলনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।

উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে পারস্পরিক সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন।

চস/স

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেলপথ উপদেষ্টা

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, সমস্যার সমাধান হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, দাবি থাকতে পারে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন দুঃখজনক।

ফাওজুল কবির খান বলেন, এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ১২টার পর থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। আর এতে বন্ধ রয়েছে সারা দেশের ট্রেন চলাচল। মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যস্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে নিরবতা।

কমলাপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ যাবেন ময়মনসিংহ, কেউ নেত্রকোনা আবার কেউবা রাজশাহী কিংবা কক্সবাজার। ভোরের আলো ফোটার আগেই যাদের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা, কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ তাদের অপেক্ষা।

তারা জানান, স্টেশনে আসা কেউই জানতেন না ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই কাউন্টারে এসেই পড়তে হয় বিপাকে। শীতের মধ্যে পরিবার নিয়ে আসা যাত্রীদের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।

কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যার ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।

চস/স

৪৪তম বিসিএসের ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

এ পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) পিএসসির ক্যাডার শাখার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুমা জাফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৪৪তম বিসিএসের জন্য নির্ধারিত অনলাইন ফরম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত অনলাইন ফরম প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মৌখিক পরীক্ষার দিন সংশ্লিষ্ট মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ৩০ মিনিট আগে জমা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সব সনদ ও কাগজপত্রসহ বিপিএসসি ফরম-১ মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং তিনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেয়া হবে।

চস/স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না ৭ কলেজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে।

তবে চলমান শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পন্ন করবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের আলোকে আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে ২০২৪-২০২৫ থেকে ঢাবির অধীনে আর ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান উপাচার্য। সভায় ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়া।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে। যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

চস/স

চট্টগ্রামে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় বাংলাদেশে প্রথম অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এডিবি।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর কনফারেন্স রুমে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পিপিপি বিভাগের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, পোস্ট ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন এবং এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পোস্ট ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, পিপিপি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এডিবির পরিচালক টাকিও কোনিশি।

এডিবি জানায়, এটি একটি অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার হবে, যা চট্টগ্রাম জেলার কাছে বিটিসিএল মালিকানাধীন স্থানে নির্মিত হবে। ডেটা সেন্টারটি পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক কালেকেশন সেবা প্রদান করবে এবং বিটিসিএলের অভ্যন্তরীণ ডেটা স্টোরেজ চাহিদা পূরণ করবে। আন্তর্জাতিক মানে ডিজাইন করা এই সেন্টারটি ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা এবং সম্প্রসারণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে।

এডিবির সহায়তা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে লেনদেন উপদেষ্টা সেবা, যার মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন, প্রকল্প কাঠামো নির্ধারণ এবং আইটি সেক্টরে বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াবে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

চস/স