spot_img

৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী, যা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের দায়ে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন, যা মোট পাস করা পরীক্ষার্থীর ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরদিকে নারী পরীক্ষার্থী পাস করেছেন ৫০ হাজার ৫১৪ জন, যা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের বছরের তুলনায় এবার পাসের হার মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। নারী পরীক্ষার্থীদের পাসের হার তুলনামূলক বেশি থাকাও সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিক প্রবণতার সঙ্গে মিলেছে।

ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপ, মেধাক্রম অনুযায়ী কলেজ নির্বাচন ও ভর্তির সময়সূচি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চস/স

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলা। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর সিআরবি শিরীষ তলায় এ মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ুন কবির ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন।

এরআগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের এই মাসে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে সাজানো মেলায় ৩২টি স্টলে থাকছে নান্দনিক চারু ও কারুশিল্প, চট্টগ্রামের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রকমারি শিল্প পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের সমাহার।

চস/স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সমুদ্র সৈকতে হামলায় নিহত অন্তত ১০

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও এক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজকে পুলিশ বলেছে, সন্ধ্যায় বন্ডি সমুদ্র সৈকতে গোলাগুলির ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হামলাকারী এবং বাকি ৯ জন ভুক্তভোগী।

এই ঘটনায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গোলাগুলির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো একাধিক পুলিশ সদস্যও আছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে দ্বিতীয় একজন হামলাকারীও রয়েছেন। ওই হামলাকারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্সের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি সেবা সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করছেন।

এবিসি নিউজে সম্প্রচারিত ফুটেজে মাটিতে একাধিক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেশটির সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে ৩০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা হ্যারি উইলসন বলেন, আমি অন্তত ১০ জনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি, চারদিকে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেছেন, হনুকা উৎসবের প্রথম মোমবাতি জ্বালাতে সমুদ্রসৈকতে যাওয়া ইহুদি জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাসীরা জঘন্য হামলা চালিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সমুদ্রসৈকতগুলোর একটি বন্ডি। সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যার দিকে এই সৈকতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সূত্র: এবিসি

চস/স

মিরসরাইয়ে ছাত্রদলকর্মী হত্যায় আরেক ছাত্রদলকর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাটে ছাত্রদল কর্মী তাহমিদ উল্যাহ (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত অপর এক ছাত্রদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় বারইয়ারহাট পৌরসভার রবিউল হক সওদাগরের বাড়ির সামনের পানির ড্রেন থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ছাত্রদলকর্মীর নাম মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে চাকমা জাহিদ (২০)।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন তাজপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বারইয়ারহাট পৌর বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে তাহমিদ খান নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাহমিদ খানের মা জোহরা বেগম ১২ ডিসেম্বর রাতে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ছাত্রদলকর্মী চাকমা জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, তাহমিদ হত্যার অন্যতম আসামি জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে হত্যার ঘটনায় জাহিদ জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছে সে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর রবিউল হক সওদাগর বাড়ির সামনের পানির ড্রেন থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামি জাহিদুলকে আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সে অন্যান্য আসামিদের নাম বলেছে। আমরা তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।

চস/স

শীর্ষ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শীর্ষ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অনেকে হুমকি-ধামকি পেয়েছেন। হাদীর ঘটনার পর শীর্ষস্থানীয় জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ বলছে, হাজার হাজার জুলাই যোদ্ধার নিরাপত্তা ব্যক্তি পর্যায়ে বা আলাদা করে নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তবে হাদীর মতো যারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন, অথবা গান পয়েন্টে (বিপজ্জনক অবস্থায়) আছেন, তাদের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার তদন্ত সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিস্তারিত আসছে….

মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: মেয়র ডা. শাহাদাত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাই তাদের স্মৃতিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ জরুরি।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বদ্ধভূমিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর আমাদের দেশের যেসব সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা, যারা ছিলেন দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড।

“শহিদুল্লাহ কায়সার কিংবা জহির রায়হান বা ডাক্তার আব্দুল আলিম কিংবা গোবিন্দচন্দ্রসহ বুদ্ধিজীবীদের সেদিন হত্যা করা হয়েছিল জাতিকে মেধাশূন্য করতে। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে, স্বাধীনতার যে মূল মন্ত্র ন্যায্যতা, সাম্যতা, মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এখনো সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমরা সেদিন পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে পারব যেদিন মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার গুলো ফিরে পাবে। “

মেয়র আরো বলেন, এই লক্ষ্যে মনে করি আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১ সালের পর থেকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন এখনো পর্যন্ত মানুষ দেখেনি।

২০০৮ এর নির্বাচনে কিন্তু একটা সূক্ষ্ম কারচুপি আমরা দেখেছি সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে। আমরা যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা বলি সেটা ছিল একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ২৪ সালের নির্বাচন আমি-তুমি-ডামির একটা নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে ২০২৬ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে। গত ১৬-১৮ বছর নির্বাচনের নামে তামাশা দেখেছে জনগণ। নির্বাচনের নামে নির্বাসিত করা হয়েছিল। নির্যাতন করা হয়েছিল। মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সবাই মিলেমিশে একসাথে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়।

“শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি লাল সবুজের পতাকার জন্য, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিল। আমরা যদি গণতান্ত্রিক একটি বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের যে অধিকার আমরা হারিয়েছি সে অধিকার আমাদেরকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে। আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে সবাই মিলেমিশে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব’ এই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সেদিন আবার সমুন্নত করতে হবে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি। ইনশাআল্লাহ আমরা মনে করি শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র সূচিত হবে।”

চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের এখানে নগর সরকার নেই। আমাদের চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের কোন শহরে সিটি গভর্মেন্ট এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কমপ্লিটলি সিটি মেয়রের আন্ডারে নেই যেহেতু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে নেই। তারপরেও আমরা একটা কোঅর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করছি। আমি এখনো পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলতে চাই যেকোন ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

“আমি আধুনিক সিটিগুলোতে ঘুরে এসেছি। লন্ডনে বলুন, কানাডাতে বলুন সেখানকার মেয়রগুলোর আন্ডারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ সেখানে সিটি গভর্মেন্ট আছে। আমাদের নগর সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত একটা পরিকল্পিত এবং একটা সেফ, ক্লিন, গ্রিন, হেলদি সিটি করাটা আসলে কঠিন। তবে আমরা অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যাব। যেভাবে আমরা জলাবদ্ধতাকে ইনশাআল্লাহ ৬০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পেরেছি সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমরা যদি কোঅর্ডিনেশনে কাজ করতে পারি সমস্ত সার্ভিস ওরিয়েন্টেড অর্গানাইজেশন গুলো আমরা যদি কাঁধে কাধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করতে পারি তাহলে এটা অসম্ভব কিছু নয় এই শহরকে নিরাপদ রাখা।”

অরক্ষিত বধ্যভূমির বিষয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যেসব বদ্ধভূমি এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে আমরা সেগুলো সুরক্ষিত করব। আমরা সামনের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ রাষ্ট্রীয় কিছু বাজেট খুবই দরকার। আমি যখনই কোন একটা ডিপিপি রেডি করে মন্ত্রণালয় দিচ্ছি সেটা কিন্তু হচ্ছে না কারণ সেখানে বাজেট সংকট রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক কোন সরকার যদি না আসে কেউ বাইর থেকে এসে ইনভেস্টও করছে না। ইতিমধ্যে আমি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি এই শহরকে সুন্দর করার জন্য।

“আমি বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য, বায়োগ্যাস করার জন্য, গ্রীন ডিজেল করার জন্য, ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন করার জন্য কিংবা সোলার ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য পরিবেশবান্ধব একটি শহর করার জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক ডিপিপি রেডি করে ফাইলও মন্ত্রণালয়ে আছে। চট্টগ্রাম শহরের মানুষের জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য এবং এই শহরকে একটি সুন্দর জনবান্ধব পরিবেশবান্ধব করার জন্য যা যা করার জন্য দরকার সে আইডিয়াগুলো আমাদের আছে। আমরা মনে করি সামনে যদি একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসে নির্বাচনের মাধ্যমে তাহলে চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্ক্ষিত কাজগুলো অবশ্যই তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাবে।”

এসময় মেয়র শাহাদাতের সাথে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ।

চস/স

রাউজানে পরিত্যক্ত অবস্থায় মিললো ২টি পাইপগান

চট্টগ্রামের রাউজান থানাধীন কদলপুর এলাকা থেকে ২টি দেশে তৈরি পাইপগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, কদলপুর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গুন্না হাজীর খালি ভিটার পূর্বপাশে মাইজপাড়া তৈয়বিয়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সাইনবোর্ড দানবাক্সের পাশে শপিং ব্যাগে মোড়ানো ২টি দেশে তৈরি পাইপগান পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকার খবর পাওয়া যায়।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে ২টি পাইপগান উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র দুটি রাউজান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চস/স

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

তিনি আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ।

এ সময় ঘড়ির কাঁটায় সময় সকাল ৭টা ২২ মিনিট।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

পাশাপাশি তিনি আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ।

একাত্তরের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। স্বাধীনতার সূর্য ওঠার আগমুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালায়।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সকাল আনুমানিক ৭টা ০৪ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

চস/স

এনসিপিতেই যোগ দিবেন মাহফুজ ও আসিফ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া কোন দলে যোগ দিচ্ছেন তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। এ দুই সাবেক উপদেষ্টা বিএনপি, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ অথবা স্বতন্ত্রভাবে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলাপ রয়েছে।

তবে মাহফুজ ও আসিফের একাধিক ঘনিষ্ট সূত্র এবং এনসিপির শীর্ষনেতারা জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এ দুজন নেতা। -খবর ইত্তেফাকের

জানা গেছে, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। এছাড়া লক্ষীপুর-১ আসন থেকে মাহফুজ আলম প্রার্থিতা করবেন বলেও তার ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১২৫ আসনে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও এ দুজনের আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি।

দুই সাবেক উপদেষ্টার এনসিপিতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দুই ছাত্রনেতা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত দলে যোগ দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা কয়েক দিনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকেই আসবে।

এর আগে দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের পর গণমাধ্যমে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আসিফ মাহমুদ জনতার কাতারে এসেছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন এটি তার সিদ্ধান্ত। তিনি যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপিতে আসেন আমরা তাকে স্বাগত জানাব। এর আগে নাহিদ ইসলাম যখন উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তখন আমরা তাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিলাম, তেমনিভাবে দুজন ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলম এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।

গত ফেব্রুয়ারিতে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে এনসিপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়েছেন অভ্যুত্থানের আরেক নেতা নাহিদ ইসলাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন অন্যতম নীতিনির্ধারণী নেতা জানিয়েছেন, আসিফ দলটিতে যোগ দিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার নিশ্চয়তা চান। আহ্বায়কের পরের পদমর্যাদা চান। উপদেষ্টার পদ ছাড়তে অনিচ্ছুক মাহফুজ সাংগঠনিক ক্ষমতা না চাইলেও দলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান চান। এসব বিষয়ে দরকষাকষির কারণেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ দুজন এনসিপিতেই আসছেন তা নিশ্চিত। সূত্র: ইত্তেফাক

চস/স

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের এক কালো অধ্যায়। একাত্তরে ৯ মাসের রক্তাক্ত সংগ্রামের শেষ মুহূর্তে যখন স্বাধীনতার সূর্য উদয় হতে যাচ্ছে ঠিক তখনই বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরোচিত সেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মহান বিজয় দিবসের ঠিক দুই দিন আগে আজকের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা এই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন।

বিজয়ের পরে রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাতবাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই রাতে ঢাকায় অন্তত ২০০ জনের মতো বুদ্ধিজীবীকে নিজ নিজ বাসা থেকে চোখে কাপড় বেঁধে ধরে নিয়ে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ অন্য আরও অনেক স্থানে অবস্থিত টর্চার সেলে বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়। পরে রায়েরবাজারের ইটখোলা ও মিরপুর বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। তথ্যমতে, একাত্তরের গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল।

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার এই দিনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী দিয়েছেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি পালনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা হানাদার বাহিনী তাদের আত্মসমর্পণের অব্যবহিত পূর্বে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর এ ক্ষত বাংলাদেশ আজও বহন করে চলেছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেন, আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এ দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর চক্রান্ত। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার ঘটনা আজও সারা জাতিকে বেদনাবিধুর করে। তবে তাদের রেখে যাওয়া আদর্শ অর্থাৎ জ্ঞানবিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির চেতনা, উন্নত ও প্রগতিশীল দেশ গড়ার প্রত্যয় জাগিয়ে তোলে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। জীবন উৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা ও জ্ঞানচর্চার জন্য তাদের ত্যাগ কখনো জনমন থেকে মুছে যাবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা একটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল।

আজ সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সকাল থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

চস/স