spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ভারতে বেহাল শিল্পে বৃদ্ধি ২ শতাংশ, উৎপাদন সূচক কমল ৫ শতাংশ

ভারতে গতবছর ঠিক এই মাসেই শিল্পোৎপাদন সূচক বেড়ে হয়েছিল ৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে তা তলানিতে এসে ঠেকে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশে। অর্থাৎ বিগত এক বছরে শিল্পোৎপাদন সূচক কমেছে ৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান ও প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তরফে ঠিক এই হিসেবই জানানো হয়েছে। চলতি বছরেই মে মাসে ৩.১ শতাংশ শিল্পোৎপাদন বেড়েছিল। কিন্তু তার মাস দুয়েক পরেই বড় ভরাডুবি।

এধরনের সূচক অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকাকে। একের পর এক ধাক্কা ভারতের শিল্প মহলে। গাড়ি শিল্পে প্রায় ৩ লাখ কর্মচারি কাজ হারানোর পর এবার ধুঁকছে শিল্পোৎপাদন। কিন্তু হঠাৎই এমনতর পতন কেন শিল্পোৎপাদনে? খনি এবং উৎপাদক সংস্থাগুলির পারফরম্যান্স আগের তুলনায় খারাপ হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল শিল্পোৎপাদনের সূচক হয়তো আরও নেমে পড়বে, যেটা হয়নি! জুনের রিপোর্ট অনুযায়ী শিল্পের আউটপুট বৃদ্ধি ছিল ১.৫ শতাংশ।

গত বছরের হিসেব অনুযায়ী সব মিলিয়ে প্রবৃদ্ধি এপ্রিল-জুনে দাঁড়িয়েছিল ৩.৬ শতাংশে। উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয় মাত্র ১.২ শতাংশ। আর যেটা এক বছর আগে ছিল ৬.৯ শতাংশ। একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি ঠিকঠাক রয়েছে। গত বছরে ছিল ৮.৫ শতাংশ আর চলতি বছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৮.২ শতাংশে। অর্থাৎ ভারতের বাজারে চাহিদা যে তলানিতে ঠেকেছে, তা এখন স্পষ্ট। এ জন্য দায়ী প্রধানত মূলধনী পণ্যের উৎপাদন জুনে সরাসরি ৬.৫ শতাংশ কমে যাওয়া। যেখানে এক বছর আগে তা বেড়েছিল ৯.৭ শতাংশ। মূলধনী পণ্য ব্যবহৃত হয় অন্য পণ্য উৎপাদনের কাজে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ভারতে বিনিয়োগ বাড়ছে না কমছে, তার অন্যতম মাপকাঠি এটি। ঝিমিয়ে থাকা চাহিদার প্রমাণ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদনও সরাসরি কমেছে ৫.৫ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে ভারতে শিল্প বৃদ্ধির হার ছিল ১.৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ০.২, মার্চে ২.৭, এপ্রিল ৪.৩, মে ৪.৬ ও জুন ২ শতাংশ। শিল্প বৃদ্ধি কমেছে ত্রৈমাসিকের হিসেবেও। এপ্রিল-জুনে তার হার ছিল ৩.৬ শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ৫.১ শতাংশ। টাইমস অব ইন্ডিয়া/ আনন্দবাজার

 

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss