spot_img

২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

দীপন হত্যার রায় আজ

২০১৫ সালে রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ (১০ ফেব্রুয়ারি)।

সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেবেন। আসামীদের সকলের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।

আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে, বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

আরো পড়ুন: বাতিল হচ্ছে জিয়ার ‘বীর উত্তম’ খেতাব

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। আশা করছি, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডই হবে।’

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে আক্রান্ত হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় ওই দিনই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপ স্থাপন করে। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss