নির্মাতা চয়নিকা চৌধরীকে ছেড়ে দিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পরপরই তার আটক করে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছিল। এরপর রাত ১০টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, তাকে পরিবারের জিম্মায়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। এবং প্রয়োজন হলে তাকে আবার ডিবি অফিসে ডাকা হবে। এ সময় পরীমণির ঘনিষ্ঠ সহকর্মী কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকেও পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হবে বলে জানানো হয়। প্রয়োজনে তাকেও আবার ডাকা হতে পারে ডিবি অফিসে।
দেশের ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ পরীমণি গ্রেপ্তারের ঘটনা। ঘটনাটির পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পরপরই তার আটকের খবর আসে। ডিবি পুলিশ চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন :- পরীমণির মম চয়নিকা চৌধুরী আটক
রাজধানীর বাংলামোটরে সময় টিভি অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যালে চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িটি ঘিরে ধরে পুলিশ। সময় টিভির একটি সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সেখান তেকে বের হয়ে তিনি নিকেতনের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। চয়নিকা চৌধুরী নির্মিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার নায়িকা ছিলেন পরীমণি। এই নির্মাতার ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্য সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন পরীমণি। এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমণি মধ্যে যে সখ্য রয়েছে, তা সবারই জানা। চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমণি। উত্তরা বোট ক্লাবের ঘটনায় সংবাদসম্মেলনে কাঁদতে থাকা পরীমণি চোখের জল মুছে দিয়েছিলেন চয়নিকা। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এক কথা সার্বক্ষণিক পরীমণির ছায়া হয়ে থেকেছিলেন। সাহস জুগিয়েছিলেন পরীমণির।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এবারের ঘটনায় পরীমণি নিজেই সাহায্য চাইছিলেন লাইভে এসে। তবুও চয়নিকাকে তার ধারে-কাছেও দেখা যায়নি। আদালতেও যাননি। এমনকি এ নিয়ে গত দুই দিনে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কোনো স্ট্যাটাসও দেননি।
নিজের এই অনুপস্থিতির বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে চয়নিকা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় তিনি পরীমণির কাছে ছুটে গিয়েছিলেন দায়িত্ববোধ থেকে। সবার বিপদেই তিনি এভাবে এগিয়ে আসেন। কিন্তু এবার পারেননি কারণ, পরী যখন লাইভে আসেন তখন তিনি ফেসবুকেই ছিলেন না। সন্ধ্যা ৬টার পর তিনি জেনেছিলেন কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি র্যাবের অভিযান চলছে।
চস/আজহার


