খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় গত শনিবার রাতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও তাঁর খালাতো বোন (২২) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের আগে বড় বোনটির এক বছর বয়সী মেয়ের গলায় ছুরি ধরে ও আছাড় মেরে ভয় দেখায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়। উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় স্থানীয় মুজাহিদ শেখ, আজিজুল মোড়ল ও জাহিদ নামের তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমদ এবং খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, মামলার পর রোববার রাতে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও অঞ্জন চক্রবর্তী।
ভুক্তভোগী পরিবারটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার দুজন একে অপরের খালাতো বোন। শনিবার দিবাগত রাতে তাঁরা দুজন এবং তাঁদের মধ্যে বড় বোনের ১৩ মাস বয়সী সন্তান ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে রাত আড়াইটার দিকে পাঁচ-সাতজনের একটি দল বাড়িতে ঢোকে। আর কয়েকজন বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিল। যারা বাড়ির ভেতরে ঢোকে, তারা দুই বোনকে ধর্ষণ করে। এর আগে ভয় দেখানোর জন্য স্কুলছাত্রীর খালাতো বোনের এক বছর বয়সী মেয়েটির গলায় ছুরি ধরা হয় এবং তাকে আছাড় মারা হয়। এরপর তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে। পরে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুর চিকিৎসার জন্য খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর মেয়েটির মা বলেন, ‘ওই রাতে আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ভোররাতে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। তখন আমরা গিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড় মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে সেখানে গেছে। সেও বেশ অসুস্থ। আর ধর্ষণের শিকার ছোট মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
চস/আজহার
