মৃত্যুর পর চল্লিশা হবে কি না, সন্তানেরা পারবেন কি না, এই ভেবে আর বসে থাকেননি বানেছা বেওয়া। তাই আয়োজন করে ফেললেন নিজের চল্লিশা। বানেছার বয়স এখন ৯৬। রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাস কমলাপুর গ্রামের প্রয়াত ইনছার আলীর স্ত্রী তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রামে নীল-সাদা শামিয়ানা দিয়ে সাজানো হয় বিশাল প্যান্ডেল। গরু-ছাগল জবাই করে দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না করা হয়। আশপাশের গ্রাম, এমনকি দূরের গ্রামের মানুষও ছুটে আসেন ব্যতিক্রমী এই ঘটনার সাক্ষী হতে। চল্লিশার খাবার খেতে বসেন সবাই আর সেই দৃশ্য হৃদয়ভরে উপভোগ করেন বানেছা বেওয়া।
১২ সন্তানের মা বানেছা বেওয়া। আজকের এই আয়োজনে তাঁর আট ছেলে, চার মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য উপস্থিত হন। খেয়েদেয়ে সবাই দোয়া করেন বানেছার জন্য।
বানেছা বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও মনটা আজও টগবগে। ঘুরে ঘুরে সবার খাওয়া দেখলেন। ‘মরার পরে যদি কেউ চল্লিশা না করে, তাই আগেই করলাম। তাতে সবাইকে খাওয়ানোও হলো, দোয়াও পেলাম। এখন মনে শান্তি লাগছে। মরার পরে না, বেঁচে থাকতেই মানুষের দোয়া পাওয়া যে কত সুন্দর’, হাসিমুখে বললেন বানেছা বেওয়া।
চস/আজহার