spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

পবিত্র কাবা স্পর্শ করা যাবে না এবারের হজে

করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। এর বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৫ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯১৬ জনের।

করোনার এই পরিস্থিতিতে এবারের হজ বাতিলের শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত হজ হচ্ছে, তবে সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করতে পারবেন না। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়ার পর হজের জন্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।

সোমবার (৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, এবারের হজ পালনের সময় কাবা স্পর্শ করতে পারবেন না হাজীরা। এছাড়া সব ধরনের সমাবেশ ও সভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র নির্দশন কাবা স্পর্শ করা যাবে না এবারের হজে। নামাজের সময় তো বটেই, কাবা শরীফ তাওয়াফের সময়ও দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে হাজীদের মধ্যে। রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।

সীমিত সংখ্যক হাজী মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এবারের হজ, এই সময়ে হাজী ও আয়োজকদের প্রত্যেকের জন্য সর্বদা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এবারের হজে হাজীরা কী করতে পারবেন আর পারবেন না

সৌদি আরবের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এই বছরের সীমিত আকারের হজে কিছু নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কাবা ঘর ও হজরে আসওয়াদ ছুঁতে পারবেন না যারা হজ করবেন।

পাথর নিক্ষেপের যে রীতি আছে সেখানে বিশেষ ধরনের পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজের বিশেষ অনুমতি ছাড়া ১৯শে জুলাই থেকে হজের পঞ্চম দিনের আনুষ্ঠানিকতা পর্যন্ত কেউই মিনা, মুজদালিফাহ ও আরাফাতে যেতে পারবেন না।

যদি কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা যায় তবে তার হজের বাকি আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর করবে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের ওপর। হাজিদের জন্য আলাদা ভবন, পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হবে। উপসর্গ যদি বেশি হয় তাহলে হজে অংশ নিতে দেয়া হবে না।

সকল হাজিদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। মক্কার এই সুবিশাল মসজিদের সকল ফ্রিজ সরিয়ে নেয়া হবে, যার যার ব্যক্তিগত পানির পাত্রে পানি নিয়ে পান করতে হবে।

আলাদা খাবারের ব্যবস্তা থাকবে। যে তাবুর নিচে হাজিরা অবস্থান করেন সেখানে প্রতি ৫০ বর্গমিটারে ১০ জনের বেশি থাকা যাবে না।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss