spot_img

২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েই চলেছে

আরেক দফা বাড়ল পেঁয়াজের দাম। একইভাবে বেড়েছে আদা ও রসুনের দামও। কয়েকদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ও আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকারও বেশি। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

 

চাক্তাই হামিদ উল্লাহ মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী জাবেদ ইকবাল বলেন, ভারত সীমান্তের এপার-ওপারে পর্যন্ত পেঁয়াজ রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে পেঁয়াজবাহী ট্রাক চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সংকট সৃষ্টি হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে গত দুই দিনে বৃষ্টিপাত কমার পর সীমান্ত থেকে ট্রাক আসা শুরু হয়েছে বরে জানান তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দু-একদিনের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
পেঁয়াজের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ে ঘুরে দেখা যায়, নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৯-৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে তা ২৪-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। মাসখানেক আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭-১৮ টাকা দরে। চায়না থেকে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। কয়েকদিন আগে তা ১৩৫-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে। তা বিক্রি হয়েছিল ১০২ টাকা দরে।
ষোলশহর ২নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ এয়াকুব চৌধুরী বলেন, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, রসুন ১৭০ টাকা ও আদা ১৩০ টাকা দরে’।
ভারতেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি বলে দাবি করে চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আহসান খালেক পূর্বকোণকে বলেন, বাজারে সংকট থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে পেঁয়াজের ট্রাক আসতে পারেনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাসখানেক আগে মেহেরপুরের পেঁয়াজ ১৬-১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭-১৮ টাকা দরে। বর্তমানে মেহেরপুরের পেঁয়াজ বাজারে নেই। নাসিক জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে।
পাইকারি বাজারে দেখা যায়, গত দুইদিন ধরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদাবাহী ট্রাক থেকে মালামাল উঠা-নামা চলছে। বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরে বেচাকেনায় স্থরিবতা ছিল। বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ার পর পেঁয়াজবাহী ট্রাক আসা শুরু হয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী জাবেদ ইকবাল জানান, বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে পারছে না। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের ব্যবসায়ীরা বেশি বেকায়দায় রয়েছেন। তবে শহর ও শহরতলী উপজেলার ব্যবসায়ীরা বাজারমুখী হলেও বৃষ্টির শঙ্কা এখনো কাটছে না।

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss