spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

‘সংকটে পেশা বদলাচ্ছে সাংবাদিকরা’

বর্তমানে পরিস্থিতির চাপে এবং বিভিন্ন কারণে গণমাধ্যম অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাকালীন বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক সংকঙ্গকট অনেকে সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কি কি প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং দেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ কেমন হবে সে বিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্চুয়াল প্লাটোফর্মে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ অ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট এবং ফ্রিডরিখ নওমান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, করোনার সময়ে অনেক সাংবাদিকের বেতন-ভাতা ঠিকমতো পরিশোধ করা হয় নি। সংসার চালাতে এসব সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি মফঃস্বলে যারা সাংবাদিকতা করেন তারা ন্যূনতম বেতন-ভাতা পান না। এসব পরিস্থিতি দেখে তরুণরা এ পেশায় আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আসতে ভয় পাচ্ছেন। তবে নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে যদি দেশের গণমাধ্যমগুলো খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকতার এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করেছেন বক্তারা।

গোলটেবিল বৈঠকে কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুশফিক ওয়াদুদ বলেন, আমরা অনেকেই মনে করি সাংবাদিকতা খাত দিন দিন মরে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সেক্টরটি অন্য সব সেক্টরের মত বদলে যাচ্ছে যেমন ব্যাংকিং সেক্টর এবং অন্যান্য। যদি সাংবাদিকতা এই পরিবর্তনগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম বলেন, ইন্টারনেটের কারণে ছাপা মাধ্যমের প্রচলন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের দেশে কোনো মানসম্মত ওয়েব মিডিয়া তৈরি করতে পারিনি। সবাই যে বলছে দেশে সাংবাদিকতা দিনদিন মরে যাচ্ছে সেখান থেকে সেটাকে রক্ষার জন্য এই খাতের আরও বেশি দেখাশোনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

সাংবাদিক নাজমুল আহসানের বলেন, আমাদের দেশে স্বল্প সংখ্যক সংবাদপত্র আছে যা আসলে লাভজনক। তাহলে নতুন সংবাদপত্র এত ঘন ঘন চালু হচ্ছে কেন? পশ্চিমা দেশগুলিতে লোকেরা স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিকে স্বাগত জানায় যা আমাদের দেশে দেখা যায় না। সুতরাং আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সমাধান ভিন্ন হওয়া উচিত।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক সাইমুম রেজা তালুকদারের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে, ডেইলি আওয়ার টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক তাসমিয়া নুহিয়া আল আমিন, ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসের জাহিদুল ইসলাম, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মেহেদী হাসান, দৈনিক মানবজমিনের শাহাদাত স্বাধীন, ডেইলি স্টার পত্রিকার আরাফাত রাহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।”

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss