তোমরা কেনো বলছো আমি মরে গেছি
আমার সমাধি স্থলের নেমপ্লেটে কেনো জুড়ে দিচ্ছ মরহুম নামের উপাধি।
সবুজ ঘাসের উপর অবিরাম শিশির বিন্দু-কণা
মুক্তোর মতো জ্বলজ্বল করছে
ভোর না হতেই শালিকের তানে চারপাশটা মুখরিত হচ্ছে
বর্ষার ধারাপাতে সমাধির উপরের রক্তজবার চারাটি
নতুন জীবন যেন ফিরে পাচ্ছে
তারপরেও কী বলবে আমার মৃত্যু হয়েছে!
শরতের কাশ মুক্ত গগনে আপন মনে উড়ছে
নীলাকাশের প্রত্যেকটি নক্ষত্র যেনো চাঁদের জোৎস্না মাখছে
হিজল দিয়ে যাচ্ছে অমৃতছায়া বিরামহীনে।।
মাটির দেহখানি মাটিতে মিশে একাকার
তাই বলে কী হৃদয়ের তুলি দিয়ে আঁকা ভালোবাসাগুলিও ছাড়খার।
আমার শৈশব আর বর্ষা
থৈ থৈ জলে তুলোছি কতো শালুক আর শাপলা।
কত মেঠোপথে হেটেছি আমি খালিপায়ে
আমার পায়ে লেগে থাকা ঘ্রাণ মৃত্যু কি মুছে ফেলতে পারে।
আমার মৃত্যু হয়নি আমার মৃত্যু হতে পারে না
আমার মৃত্যু হলে আমার কবরে সবুজ মধুকূপী ঘাসের জন্ম হয় না
শালিক,দোয়েল টিয়ার তানে আমার সমাধির চারপাশ মুখরিত হয়না।
আমি বেচে রয় সকল প্রাণের বীণায় রয়েছে মম প্রাণের লয়।
যতদিন ভালোবাসা টিকে রবে ততদিন আমার প্রাণ বেচে রবে।
আমিও মরেও রবো বাঁচিয়া
ভালোবাসায় মম প্রাণ রাখবো মোড়িয়া।
মুনশি আরাফাত হোসাইন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চস/আজহার