spot_img

১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

আজ কবি শামসুর রাহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান তিনি।

গত শতাব্দীর পঞ্চাম দশকের কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশের পরপরই তিনি সচেতন পাঠকমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁর পরের গ্রন্থগুলোও আকৃষ্ট করে বোদ্ধা পাঠকদের। কবি শামসুর রাহমানের ‘আসাদের শার্ট’ কবিতায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান যেন সচিত্র রূপ পায়। এ কবিতাটি শামসুর রাহমানকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি তাঁর বিখ্যাত কবিতার মধ্যে অন্যতম। এ কবিতা ঊনসত্তরের উত্তাল সময়কে ধারণ করে আছে। বাঙালি জাতির সংকটময় মুহূর্তে এ কবিতাটি বারবার উচ্চারিত হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শামসুর রাহমান সপরিবারে পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে চলে যান। এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বেদনামথিত হয়ে লেখেন ‘স্বাধীনতা তুমি’ ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’সহ বেশকিছু কবিতা। তাঁর ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি যেন মন্ত্রোচ্চারণের মত অনিবার্য এবং আবহমান বাংলার সাধারণ জীবনের মত স্বাচ্ছন্দ্য।

স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর-পরবর্তী পট পরিবর্তনে আশাহত কবি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে কলম চালিয়েছেন নিরন্তর। গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের আকাক্সক্ষায় তিনি ছিলেন সবগুলো আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রগামী পুরুষ। শামসুর রাহমানের ৬৬টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও শিশুতোষ, অনুবাদ, ছোটগল্প, উপন্যাস, আত্মস্মৃতি, প্রবন্ধ-নিবন্ধের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিক হিসেবে কবি শামসুর রাহমান ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি  দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কবি শামসুর রাহমান আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, জীবনানন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নেওয়া এই কবিকে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে, মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss