দেশের ‘১২৫টি উপজেলার নদীতে’ মিলছে ইলিশ
ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকছে ৯-৩১ অক্টোবর
ইলিশ রক্ষা: চাঁদপুর ও ভোলায় ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ উপলক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
এ সময়ে সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছিলেন, প্রধানত আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন পর্যন্ত সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ে।
“সারা বছর ডিম ছাড়লেও ৮০ শতাংশ ডিম এ সময় ছাড়ে।”
এ সময় ইলিশ ধরার উপর নির্ভরশীল জেলেদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে জানিয়ে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাছ ধরায় বিধিনিষেধের ফলে ইলিশ মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।
“মৎস্য খাতের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল, এখন আর তা নেই।”
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে এখন দেশের শতাধিক উপজেলার নদীতে তা পাওয়া যাচ্ছে বলে এ বছর জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে এক কর্মশালায় জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানানো হয় ওই কর্মশালায়।
চস/আজহার