spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বন্দরে শিপ হ্যান্ডলিং জিম্মি সিন্ডিকেটের হাতে

চট্টগ্রামে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে (আউটার) বড় জাহাজ থেকে খোলা পণ্য লাইটারিংয়ে আমদানিকারকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন শিপ হ্যান্ডলিং সিন্ডিকেটের কাছে। ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো প্রয়োজনীয় হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট ছাড়াই বছরের পর বছর একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সিন্ডিকেটটি। এর মাশুল দিতে হচ্ছে আমদানিকারক, বড় শিল্প গ্রুপের কারখানা ও দেশের ভোক্তা সাধারণকে।-বাংলানিউজ
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের গভীরতা কম হওয়ায় বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) গম, সার, সিমেন্ট ক্লিংকার, পাথর, কয়লা ইত্যাদি খোলাপণ্য নিয়ে সরাসরি বন্দরের মূল জেটিতে আসতে পারে না। তাই বহির্নোঙরে এসব জাহাজকে অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে ছোট ছোট জাহাজে পণ্য খালাস করে বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের কারখানা, নদীবন্দর সংশ্লিষ্ট গুদামে নিয়ে যেতে হয়। বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাসের কাজটি শিপ হ্যান্ডলিং সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

২০০৭ সালের আগে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি করতো লাইসেন্সধারী ৫৬টি স্টিভিডোর কোম্পানি। কাজে গতি আনতে স্টিভিডোর কোম্পানিগুলো থেকে বাছাই করে বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরে ভাগ করা হয়। ২০১৫ সালের মার্চে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ, আমদানিকারকের পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। বাকি ৫টি প্রতিষ্ঠান নিজেদের আমদানি করা পণ্যই শুধু হ্যান্ডলিং করে। এরমধ্যে ওই ২৬টি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের হয়রানি, বাড়তি টাকা দাবি, কাজে সময়ক্ষেপণ ইত্যাদি কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারা তিন দিনের কাজ সপ্তাহেও শেষ করে না। এর ফলে শ্রমিকদের মজুরি-ভাতা-খাবার, বোট ভাড়া, গ্র‌্যাব, পে লোডার হায়ার, অপেক্ষমাণ বড় জাহাজের ভাড়া ইত্যাদি মাত্রাতিরিক্ত দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি একটি চালানের শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের বিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫৯ হাজার টন পাথর আমদানিতে শিপ হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকার বেশি, ফুডিং চার্জ এসেছে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, পে-লোডার হায়ার চার্জ ৪৪ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে গ্র‌্যাব হায়ার চার্জ, জ্বালানি খরচ, লাইটার ভাড়া, ব্রেকডাউন হায়ার, বোট হায়ার, গিয়ার কস্ট, জাহাজের ক্ষয়ক্ষতির দাবি, আয়কর, সিপিএ লেবার ওয়েলফার ফান্ডের চাঁদা ইত্যাদি। ২৪ শতাংশ খরচ করে শিপ হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠানটি লাভ করে ৭৫ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও শিল্পকারখানার মালিকদের দাবি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শিপ হ্যান্ডলিং কার্যক্রম উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিপ হ্যান্ডলিংয়ে যারাই কাজ করুক দক্ষতা-দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট, লজিস্টিক সাপোর্ট প্রতিষ্ঠানের থাকতে হবে। বন্দর ব্যবহারকারীদের খরচ কমাতে হবে। যেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটরস এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে.এম শামসুজ্জামান রাসেল বলেন, শিপ হ্যান্ডলিংয়ে লাভ বেশি করার সুযোগ নেই। পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম চেম্বার ও শিপ হ্যান্ডলিং এাসোসিয়েশনের বৈঠকে কাজের রেট নির্ধারণ করা হয়।বে। এসময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হতে পারে, তাই অন্তত সানগ্লাস পরা উচিত।-বাংলানিউজ

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss