spot_img

৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন

আবারও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই ব্যাংক চলতি বছরের জুলাইয়ের শেয়ার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ পরিবর্তনের কথা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবভিত্তিক কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সি ৫ জুলাই একটি চিঠি পাঠিয়ে পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে। এরপর ব্যাংকটি গত ২৬ জুলাই বোর্ডসভার মাধ্যমে তা অনুমোদন করে। তবে কোম্পানিটি এখনও শেয়ার বিক্রি করেনি।

এর আগে মুসাইদ আবদুল্লাহ এ আল-রাজি কোম্পানির পক্ষে দীর্ঘদিন ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আরবসাস ট্রাভেল ইসলামী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো ইসলামী ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, সৌদি আরবভিত্তিক কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সি গত ৫ জুলাই একটি চিঠি পাঠিয়ে জানায়, তারা ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকবে না।

এর আগে ইসলামী ব্যাংকের পুরো শেয়ার ছেড়ে দিয়ে পরিচালনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তারও আগে বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করে দেয়।

এদিকে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ইসলামী ব্যাংক আরমাডা স্পিনিং মিলস মনোনীত আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাসেম, কিংসওয়ে এনডেভার্স মনোনীত শওকত হোসেন এবং ইউনিগ্লোব বিজনেস রিসোর্সেস মনোনীত জামাল মোস্তফা চৌধুরীকে শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ইসলামী ব্যাংকে যৌথভাবে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এর আগে জুনে এসব কোম্পানি ব্যাংকটি থেকে তাদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় ব্যাংকের পর্ষদে এই তিন কোম্পানির মনোনীত পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক নাজমুল হাসান, অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন ও মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মতিন।

এছাড়া জুন মাসে এস আলম গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ছেলে আহসানুল আলম জেএমসি বিল্ডার্স-এর মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে ব্যাংকের একজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২০১১ সাল পর্যন্ত একরকম নির্বিঘ্নেই ব্যাংকটি পরিচালনা করেছে। ২০১১ সালের নভেম্বরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নতুন নিয়ম করে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। এই বিধান করার পর ব্যাংকটিতে জামায়াত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে ভাটা পড়ে। ২০১৭ সালে বাজার থেকে শেয়ার কিনে ব্যাংকটির মালিকানায় চলে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। সূত্র: বাংলাট্রিবিউন

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss