প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পোশাক গার্মেন্টস বন্ধের প্রশ্নে এতদিন নীরব থাকলেও এখন কারখানা বন্ধের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি এক বিবৃতির মাধ্যমে কারখানা মালিকদের এই অনুরোধ জানান।
আরো পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে তৃণমূলে ভাবনা
করোনার কারণে সরকারের ঘোষিত দশ দিন সাধারণ ছুটি আজ শুরু হয়েছে। অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তারপরও কারখানা বন্ধের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলছিল না পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। অবশ্য বুধবার বিকেএমইএ নিজেদের সদস্যদের ক্রয়াদেশ না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সদস্য কারখানা মালিকদের উদ্দেশ্যে রুবানা হকের চিঠি হুবহু তুলে দেওয়া হলো—
বিজিএমইএর সদস্য ভাই ও বোনেরা,
আসসালামুআলাইকুম
আমরা প্রথমে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে তাঁদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সবার সুরক্ষার এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে আমাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। এমতাবস্থায় কারখানা বন্ধ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।
-রুবানা হক, সভাপতি, বিজিএমইএ
এদিকে, এত দিন নির্দেশনা না দিলেও করোনার কারণে বুধবার পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্য ৩৮টি কারখানা বন্ধ করেছে। তাদের মধ্যেই অধিকাংশ আবার শ্রম আইনের ১২ ও ১৬ ধারা অনুযায়ী কারখানা লে-অফ করেছে। তাতে কারখানা বন্ধকালীন সময়ে শ্রমিকেরা মূল মজুরির অর্ধেক ও বাড়ি ভাড়া পাবেন।