spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

সরিষার চালানে এলো পপি বীজ

সরিষা বীজ ঘোষণার একটি চালানে মালয়েশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে দেখতে প্রায় একই রকম নিষিদ্ধ পপি বীজ। সাধারণত আফিম তৈরির জন্য দেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে অবৈধ ভাবে পপি ফুলের চাষ করা হয়।

সোমবার (৩১ মে) রাতে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া থেকে ৫৪ টন সরিষা বীজ আমদানির কাগজপত্র দাখিল করে ঢাকার আমদানিকারক আজমিন ট্রেড সেন্টার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চালানটি আটক করে পণ্যের নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে পাঠায় কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। রাসায়নিক পরীক্ষায় মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি প্রমাণ হওয়ায় চালানটি আটক করা হয়।

আমদানি নথি সূত্রে জানা যায়, ৫৪ টন সরিষা বীজের মূল্য বাবদ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আটককৃত পপি বীজের মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ এ পণ্যটি আনতে অবৈধ পথে বাকি ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে। এ চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, আমদানিকারক কৌশলে সরিষা বীজের আড়ালে মাদকদ্রব্য খালাসের চেষ্টা করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় লাখ টাকার শুল্কও পরিশোধ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি আটক করে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন পপি বীজ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: আদর করার ভানে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

তিনি জানান, আজমিন ট্রেড সেন্টার নামে পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে এসব বীজ আমদানি করেছে।

রেজাউল আরো বলেন, সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss