বাবার কাছে শেষ বিদায় নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো সন্তান। মৃত্যুর আগে বাবার কাছে ফোন করে ক্ষমা চান বিস্ফোরণে আহত সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী কনটেইনার ডিপোর কর্মী মবিনুল।
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মবিনুলের বাবা স্কুলশিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন,‘শুরুতে ৯টা সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করেছিল। তখন বলছে- ‘বাবা, এখানে আগুন লাগছে। দেড় ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলতেছে’।
আমি বলেছি, ‘বাবা, দূরে থাকিস’।
এর বেশ কিছুক্ষণ পর আমাকে ফোন করে ছেলে বলে- ‘বাবা আমার একটা পা চলে গেছে। আমি মারা যাচ্ছি, সবাই আমাকে মাফ করে দিও।’
তিনি বলেন, ফোনে ওইটুকু কথা বলার পর লাইন কেটে যায়। এরপর রাত ১টার পরে এসে হাসপাতালে ছেলের মরদেহ পাই।
আরও পড়ুন:- ‘কে এখন ভাত খাওয়ার জন্য ডাকবে- অ ভাই’
চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করে এমবিএ করছিলেন মবিনুল হক। পাশাপাশি চার মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।
শোকে কাতর ফরিদুল ইসলাম ছেলের নানা বিষয় নিয়ে প্রলাপের মতো বলে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। বিয়ের কথা ছিল তার। কয়েকজন মেয়েও দেখা হয়েছে। তবে পাকা কথা হয়নি।’
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মবিনুল দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ফয়সাল কাজ করেন একটি ওষুধ কোম্পানিতে। ছোটবোন গোলাপীর বিয়ে হয়ে গেছে।
চস/আজহার


