দখল হয়ে যাচ্ছে কালির ছড়া খাল। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাল দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হলেও প্রভাবশালীরা কোনো ধরনের তোয়াক্কা করছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ও ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের মাঝে প্রবাহিত কালির ছড়া খালটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। দখলের কারণে দুই ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি প্রশস্থতা হারিয়ে সরু নালায় পরিণত
হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৫ থেকে ৪০ ফুট প্রস্থের খালটির প্রশস্ততা ৫ থেকে ১৫ ফুটে এসে ঠেকেছে। দখলদাররা অনেক এলাকায় খালের গতিপথও পরিবর্তন করেছেন। খালের পাশে বিশ্বব্যাংক কলোনি আবাসিক এলাকা, শাহের পাড়া, লেকসিটি, জয়ন্তিকা, রামপুরা, ভূমিহীন, ছিন্নমূল, যমুনা, সবুজ বাংলা, শাপলা ও কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র পথ কালির ছড়া খাল। খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে শত শত বাসিন্দাকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে খালটি দখলমুক্ত করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর পক্ষে মোহাম্মদ ইসমাইল দৈনিক পূর্বকোণকে অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগেও কালির ছড়া খালের বিভিন্ন অংশ দখল করার চেষ্টা করে প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি মোহাম্মদ তুহিন নামের এক প্লট মালিক সিডিএ আবাসিক সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে খাল দখল করে বাড়ি তৈরি করতে আরসিসি পিলার ও দেওয়াল তুলছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে অবৈধ দখলকারী নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে কাজ অব্যাহত রেখেছে। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য, পুলিশ কমিশনার, সিডিএ’র চেয়ারম্যান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ধরনের প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চস/আজহার