এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শরীফুল ইসলাম (৩৪) ও মহিউদ্দিন মনির (৩০)। মঙ্গলবার (২৩ জুন) নগরীর আগ্রাবাদ মিডল্যান্ড ব্যাংকের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পেনড্রাইভ, কিবোর্ড, সেন্সরযুক্ত ইউএসবি হ্যাব, মোবাইল ফোন, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ সংযুক্ত এটিএম ক্লোন কার্ড, অস্ত্রসহ বেশকিছু সরঞ্জাম ও চাবিসহ আরও বেশ কিছু এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শরীফুল ইসলাম মেহেরপুর জেলার গাংনি থানার হেমায়েতপুর এলাকার ইয়াছ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও মহিউদ্দিন মনির রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার হাজী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। শরীফুল ইসলাম ঢাকার নসরুদ্দীন রোডের মাটি কাটার বাজার এলাকায় বসবাস করতেন ও মহিউদ্দিন মনির সদরঘাট থানার রাজ হোটেলের মোড়ের রুহুল আমিন বিল্ডিংয়ে বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তারের পর ডবলমুরিং থানায় আজ বুধবার (২৪ জু্লাই) দুপুরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিএমপি উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক এসব তথ্য জানান। আটককৃতদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি চক্রের মূলহোতা বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে আরও ২৪১ জনের করোনা শনাক্ত
মো. ফারুক উল হক আরও জানান, দুটি মডেলের মেশিন যেসব এটিএম বুথে রয়েছে সেসব এটিএম বুথকে টার্গেট করে অনলাইন থেকে মেশিনগুলোর চাবি সংগ্রহ করে। পরে ম্যালওয়ার সফটওয়্যার সমৃদ্ধ পেনড্রাইভ সংযুক্ত ইউএসবি হাবপোর্ট এটিএম মেশিনে প্রবেশ করানো হয়। ম্যালওয়ার সফটওয়্যারটি উইন্ডোজে দেখা গেলে বাহির থেকে ওয়ারলেস মিনি কিবোর্ডের মাধ্যমে সুপারভাইজার প্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করে কমান্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন বলেন, শরীফুল একজন পেশাদার চোর। শুরুর দিকে শরীফুল ইসলাম ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করতেন। পরে তিনি এটিএম কার্ড জালিয়াতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি বুথে কন্ট্রোল নেয়ার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৩ সালে শরীফুল ইসলাম সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১৮ সালেও একই অপরাধে আবারও গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিনে বের হয়ে এতদিন ধরে ফের একই কাজ করে আসছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে চকবাজার পূবালী ব্যাংকের কলেজ রোড শাখা বুথ থেকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও ডবলমুরিংয়ের চৌমুহনী ফারুক চেম্বারের নিচে পূবালী ব্যাংকের বুথ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) থেকে টাকা উত্তোলন করে ওই চক্রটি।
চস/স