spot_img

৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বাঁশখালীতে আইনজীবীকে মারধর, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

বাঁশখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট মঞ্জর আলম নামে এক আইনজীবী।

গত ১৯ আগস্ট (বুধবার) বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। সি.আর মামলা নং- ৩৯৫/২০২০। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে বেঞ্চ সহকারী সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘একজন অ্যাডভোকেট কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’

জানা যায়, জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুর আলমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনজীবী নিজ বাড়িতে যান। ওইদিন জুমার নামাজ পড়ে বের হলে উত্তর জলদী ৪নং ওয়ার্ডের চুম্মা পাড়া এলাকায় কাউন্সিলর আজগর হোসেন আইনজীবী মঞ্জুরকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। পরে কিছুদূর নিয়ে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা আরো কয়েকজনসহ আইনজীবীকে মারধর করা হয়।

মামলার বাদি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আলম বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমার পৈত্রিক জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল কাউন্সিলর আজগরসহ একটি সিন্ডিকেট। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে চাঁদা দাবি করে আসছিল তারা। সুবিধা করতে না পেরে কোরবানির ঈদে বাড়ি গেলে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় আমার কাছে থাকা গরু কেনার টাকাও তারা ছিনিয়ে নেয়। কাউন্সিলর প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি আমি থানায় অবহিত করেও কোনরূপ সুফল পাইনি। যে কারণে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

বাঁশখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর হোসেন বলেন, ‘আমার সাথে তাদের সুসম্পর্ক আছে। তাদের সাথে জিয়া নামের একজনের জায়গার বিরোধ আছে। সেদিন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। আমি সবাইকে শান্ত করেছিলাম। সেদিন কয়েকজন যুবলীগের নেতার হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসাও হয়েছিল। এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে শুনছি। এটা ষড়যন্ত্র। সুষ্টু তদন্তে অবশ্যই আমি নির্দোষ প্রমাণ হবো।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss