spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বাঁশখালীতে ৪ জনকে গণপিটুনি ছেলেধরা সন্দেহ

বাঁশখালী উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইলশা হামিদ কাজীপাড়ায় ও সাধনপুর ইউনিয়নের বানিগ্রামে গতকাল (সোমবার) দুপুরে ছেলেধরা সন্দেহে ৪ যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পটিয়া ও বোয়ালখালীর ৩ যুবক সিএনজি ট্যাক্সিযোগে বাহারছড়া ইলশা গ্রামে যায়, গ্রামের লোকদের ছেলেধরা সন্দেহ হলে অপরিচিত লোকদের আগমনে জটলা সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যেই গুজব রটে যায় ছেলেধরা এলাকায় ঢুকে পড়েছে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শত শত গ্রামবাসী ছেলেধরা সন্দেহ করে যুবকদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনির শিকার হয়ে আহতরা হলেন, পটিয়া উপজেলার উকিড়নারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়লিয়া গ্রামের ছগির আহমদের ছেলে মো. হৃদয় হরন (১৯), ৯নং ওয়ার্ডের বরলিয়া গ্রামের নোয়া মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (৩২) ও বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঘুষখিল চেরেং বাড়ীর শাহাব মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জনি (৩১)। সাধনপুর ইউনিয়নের বাণিগ্রামে বাজারে দুপুর দেড় টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ গ্রামের তপন বিশ্বাসের ছেলে শান্ত বিশ্বাস (৩২) এলোমেলোভাবে চলাফেরা করলে লোকজনের ছেলেধরা সন্দেহ হয়। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত মোহাম্মদ সোহেল জানান, তারা ছাগল কেনার জন্য দল বেধে একব্যক্তির কাছে আসে। ব্যক্তিটিকে খোঁজার জন্য গাড়ি থেকে নামলেই জনতার রোষানলে পড়ে হামলার শিকার হয়। আহত শান্ত বিশ্বাস মন্দির পরিদর্শনের জন্য বাণিগ্রাম বাজারে নামার পরে ঘুরাফেরা করার সময় জনতার রোষানলে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন। বাঁশখালী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরা ইয়াছমিন বলেন, গণপিটুনির শিকার হওয়া ৪জনকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহতদের বরাত দিয়ে বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এস, আই সাজ্জাদ হোসেন জানান, বাহারছড়ার ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা ছাগল ক্রয় করার জন্য বাঁশখালী বাহারছড়ায় ইলশা গ্রামে যায়। অপরিচিত লোক দেখে এলাকাবাসীর ছেলেধরা সন্দেহ হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে ধাওয়া করে হামলা করেছে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসির উদ্দেশ্যে তিনি আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে ছেলেধরা বা বহিরাগত লোক সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
বাঁশখালী থানার (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনিতে আহত হয়েছে ৪ জন। এ ব্যাপারে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে মামলা দায়ের হবে।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss