spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

প্রথম শিরোপার খোঁজে আজ মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়বে তাসমান সাগরপাড়ের দুই প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড এই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া আগে একবার ফাইনাল খেললেও, তাদের ক্যাবিনেটেও নেই এই ফরম্যাটের বিশ্বসেরার ট্রফি। দুবাইয়ে দুই দলই আজ তাই নামছে প্রথম শিরোপা জেতার লক্ষ্যে।

নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মহারণ শুরুর আগে তাদের ফাইনালে ওঠার পথচলা কেমন ছিল, সেটাও আরেকবার জেনে নেওয়া যাক:-

হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দলটি হেরে গিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। সুপার টুয়েলভ পর্বে তখনও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি থাকার, অনেকে নিউজিল্যান্ডের বিদায় দেখছিল এই রাউন্ড থেকেই। তবে ভারতকে হারিয়েই জয়রথ ছোটায় কেন উইলিয়ামসনের দল।

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে তুলতে পারে মাত্র ১১০ রান। সেই ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে বাকি ম্যাচগুলো সহজেই জিতে নেয় কিউইরা। ভারত ম্যাচের পর দুর্বল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ এবং নামিবিয়ার বিপক্ষে ৫২ রান জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে একটা শঙ্কা নিয়েই মাঠে নেমেছিল দলটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গেলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হতো তাদের। তবে আফগানদের বিপক্ষে সহজ জয়ে পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে গ্রুপ-‘২ ’থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

শেষ চারে গ্রুপ-‘১’ এর চ্যাম্পিয়ন এবং এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় দাবীদার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। আন্ডারডগ হিসেবে সেমি খেলতে নেমেই বাজিমাত কিউইদের। এক সময় হারের মুখে থাকলেও ড্যারিল মিচেল এবং জিমি নিশাম শেষদিকে রঙ বদলে দেন ম্যাচের।

টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালের আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান বোর্ডে তোলে ইংল্যান্ড। অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলেন মইন আলি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসনকে হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেন মিচেল ও কনওয়ে (৩৮ বলে ৪৬ রান)। কনওয়ে যখন ফেরেন, তখনো ৩৮ বলে ৭২ রান প্রয়োজন ছিল কিউইদের।

এরপর জিমি নিশাম মাত্র ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ক্যামিওতে আশার প্রদীপ নতুন করে জ্বালান। সেই ফুলকি থেকেই ব্যাট হাতে বিস্ফোরণ ঘটান মিচেল। শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থেকে দলকে এক ওভার বাকি থাকতেই ফাইনালের টিকিট এনে দেন মিচেল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের, তবে কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ছন্দপতনের মধ্যে দিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় আত্মবিশ্বাসী করে তোলে অজিদের। তবে তৃতীয় ম্যাচেই তাদের একদম মাটিতে নামায় ইংল্যান্ড। দলটির কাছে রীতিমতো উড়ে যায় অ্যারন ফিঞ্চের দল।

তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বমঞ্চে বরাবরই সেরা। নিজেদের অতীত থেকে আত্মবিশ্বাস জ্বালানী করে শেষ দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া রীতিমতো উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দুটি দলের বিপক্ষেই তাদের জয় ৮ উইকেটে। ফলে গ্রুপ-‘১ ’এর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে জায়গা করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল টুর্নামেন্টের আরেক ফেবারিট এবং সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ থেকেই যে ফর্মে ছিলেন বাবর আজমের দল, তাতে অনেকে অস্ট্রেলিয়াকে হিসাবের খাতাতেই রাখছিলেন না। কিন্তু ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে যায় এউ ম্যাচ দিয়েই।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৭৬ রান তোলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে একটা সময় বেশ চাপে পড়ে যায় অজি শিবির। কিন্তু হাসান আলির এক ক্যাচ মিস যেন পাল্টে দেয় পুরো দৃশ্যপট। ১৯তম ওভারে হাসানের বদান্যতায় জীবন পাওয়া ম্যাথু ওয়েড ওই ওভারেই পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয়বারের তোলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss