কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। ২০২১ সালের এই দিনে তিনি প্রয়াত হন।
ছয় দশকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ছিলো তার। কাজ করেছেন ছোটপর্দা ও বড়পর্দায়। সব মাধ্যমেই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই বরেণ্য অভিনেতার জন্ম ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, নোয়াখালীর দৌলতপুরে।
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:- আজ ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তী। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
চস/আজহার