শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশনা তাদের কাছে এসেছে।
এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। আইএসপিগুলোকে ইন্টারনেট সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েগুলো এখন পর্যন্ত কোনো নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা পায়নি বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় সিএমএম আদালত ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। মু্ন্সীগঞ্জে সরকার সমর্থক ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। মাগুরায় নিহত হয়েছে এক ছাত্রদল নেতা। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা এলো।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে।
১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়।
চস/স