অনেক অপেক্ষার পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ভারতের ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেরামের থেকে এই ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে বাংলাদেশ।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ভ্যাকসিন ছাড়া শুরু হবে ৪ জানুয়ারি থেকে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় অক্সফোর্ড বিদায়ী বছরের প্রথম মাসে ভ্যাকসিনের সন্ধানে নামে। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা বারবার বলেন, সেপ্টেম্বরের ভেতরে ভ্যাকসিন এসে যাবে।
কিন্তু এর ট্রায়ালে কয়েক জন অসুস্থ হওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আরও সময় নেয়া হয়।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড তাদের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে জানিয়েছে, মহামারী ঠেকানোর মতো যথেষ্ট কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
অনুমোদনের আগেও সরকার থেকে কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছে ১০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন অর্ডার দিয়েছে। ৫০ মিলিয়ন মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে।
যুক্তরাজ্যে করোনা প্রতিরোধে অনুমোদন পাওয়া দ্বিতীয় ভ্যাকসিন এটি। এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় দেশটি।
বিবিসি জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এই পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। কারণ এটির দাম তুলনামূলক কম এবং সহজে বেশি-বেশি তৈরি করা যায়।
শুধু তাই নয়; এটি সংরক্ষণ করাও সহজ। ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য যেখানে আল্ট্রা কোল্ড স্টোরেজ দরকার পড়ে, সেখানে এই ভ্যাকসিনের জন্য ‘সাধারণ উপযুক্ত’ ফ্রিজ হলেই চলে।
চস/আজহার