বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত বছরের ন্যায় এবারও রমজান মাসে উমরাহ পালন, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে ইতিকাফসহ ইফতার আয়োজন হচ্ছে না। সৌদি আরবের নবনিযুক্ত ধর্ম মন্ত্রী এখনও এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেননি।
তবে প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নিয়ম মেনে খতমে তারাবি অনুষ্ঠিত ও কিয়ামুল লাইল অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবে ১৩ এপ্রিল পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তীব্রতর হওয়ার প্রেক্ষিতে আগামী মে মাস পর্যন্ত সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত হওয়ার কারণে ধারণ করা হচ্ছে, আসন্ন রমজান মাসে মুসল্লিদের ব্যাপকভাবে উমরাহ পালনের সুযোগ হচ্ছে না।
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলমানদের রমজান মাসে উমরাহ পালনের আশা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণ হচ্ছে। সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি কর্তৃক জারি করা সর্বশেষ সুপারিশ অনুসারে, সেদেশের সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ১৭ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
চলতি বছর উমরাহর অনুমতি না পেলে টানা দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের মুসলমানরা পবিত্র রমজান মাসে উমরাহ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এমন ঘটনা ইতিহাসে আর ঘটেনি। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসেরে প্রার্দুভাব এতটাই মারাত্মক হয়েছিল যে, সৌদি আরবে বসবাসকারী লোকেরাও উমরাহ পালনের অনুমতি পায়নি। মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে স্বল্প পরিসরে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকলেও উমরাহ পালন একেবারে বন্ধ ছিল।
আরো পড়ুন: পবিত্র শবে বরাত ২৯ মার্চ
করোনার প্রকোপ হ্রাসের পর সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর স্থানীয়দের জন্য উমরাহ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। পরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে ৫ নভেম্বর থেকে বিদেশ থেকে আসা জিয়ারতকারীদের পর্যায়ক্রমে উমরাহ পালন করার অনুমতি দেয়। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরূপ ভাইরাস দেখা যাওয়ার আবার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে, সৌদি আরব ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল, তবে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
চস/স
