গত সপ্তাহে ইকুয়েডরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দাঙ্গার পর প্রায় দুই হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগারগুলোর সামনে ভিড় কমাতে মূলত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। শুক্রবার (১ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির এসএনএআই কারা কর্তৃপক্ষের পরিচালক বলিভার গার্জন বলেছেন, সরকার বয়স্ক এবং নারী বন্দিদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী এবং বেশি অসুস্থদের মুক্তির জন্য অগ্রাধিকার দেবে।
ইকুয়েডরে কারাগারে ওই দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৮ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেশটির ইতিহাসে কারাগারে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা ছিল এটি।
গত মঙ্গলবার গুয়াইয়াকিল শহরের একটি কারাগারে দাঙ্গার সময় কমপক্ষে পাঁচ বন্দিকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। অপরদিকে অন্যদের গুলি করে মারা হয়েছে। পুলিশ কমান্ডার ফাউস্তো বুয়েনানো জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন বন্দি গ্রেনেড ছুড়েছে।
দাঙ্গার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪শ পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়। দেশটির কারাগারে চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ভয়াবহ দাঙ্গার ঘটনা ঘটলো। গত কয়েক মাসে এই কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দফায় দফায় দাঙ্গার ঘটনা ঘটছে।
আরো পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত বেড়ে ১১৬
দাঙ্গার পর কারাগার থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে সেখানে সামরিক কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চস/স