বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ফরাসি নাগরিক লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর। র্যান্ডন একজন নারী সন্নাসী ছিলেন।
জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের (জিআরজি) বিশ্ব অতিশতবর্ষী র্যাংকিং লিস্টের তথ্যানুযায়ী, লুসিল র্যান্ডন ১৯০৪ সালে জন্ম নেন। বিশ্বের জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে লুসিল র্যান্ডন ১৯৪৪ সালে সন্ন্যাসী হন। তখন নিজের নাম পরিবর্তন করে সিস্টার আন্দ্রে রাখেন। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর তিনি একটি নার্সিং হোমে থাকতেন। সেখানেই ঘুমের মধ্যে মঙ্গলবার মারা যান তিনি।
লুসিল র্যান্ডনকে ইউরোপের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লুসিলের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জাপানের কেন তানাকা। তিনি ২০২২ সালে ১১৯ বছর বয়সে মারা যান। এর পর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখান এ ফরাসি নারী।
লুসিল র্যান্ডন বেড়ে উঠেছিলেন খ্রিস্টান প্রোটেসটান্ট পরিবারে। তার আরও তিন ভাই ছিল। ফ্রান্সের এলসে বসবাস করতেন তারা।
নিজের ১১৬তম জন্মদিনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন লুসিল র্যান্ডন। সেই সময় নিজের পরিবার নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর তার দুই ভাই একসঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাড়িতে এসেছিলেন।
লুসিল যে নার্সিং হোমটিতে থাকতেন, সেটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি প্রায়ই তার ভাইদের কথা বলতেন এবং ভাবতেন মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হবে। সূত্র: আলজাজিরা
চস/স