তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি ও ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়াতেও। এরই মধ্যে দুই দেশে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে দুই হাজার ৩০০ জন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ ভূমিকম্পে ভবন বিধ্বস্ত হওয়ার সময় অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিল।
এ ছাড়া সিরিয়ার চারটি শহরে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে ছয় শতাধিক মানুষ। এ চার শহরের মধ্যে রয়েছে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও টারতুস।
এদিকে, এ ভূমিকম্পের ১১ মিনিট পর তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। আর এর গভীরতা ছিল ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার। এ ছাড়া এরপর আরও অনেকগুলো আফটারশক অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউএসজিএস বলছে, এর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক কার্ল ল্যাং সিএনএনকে বলেছেন, ‘সোমবার যে এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে, সে এলাকায় ভূমিকম্পের প্রবণতা অনেক। সোমবারের ভূমিকম্পটি সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোর চেয়ে অনেক শক্তিশালী।’
চস/আজহার