কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতেই থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ১৫ বছর নির্বাসনে থাকার পর মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেশে ফিরে আসেন সাবেক এই থাই প্রধানমন্ত্রী। পরে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর নির্বাসনে কাটিয়ে দেশে ফিরে আসার পর কারাগারে বন্দি থাকা থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে বুধবার পুলিশ জানিয়েছে।
মূলত নির্বাসন থেকে ফিরে আসার পর আটকের প্রথম দিনেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগার জেরে তাকে রাতেই পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ৭৪ বছর বয়সী থাকসিনের স্বাস্থ্যের অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থেকে একটি প্রাইভেট জেটে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টায় রাজধানী ব্যাংককে অবতরণ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এসময় তার শত শত উচ্ছ্বসিত সমর্থক উল্লাস, বক্তৃতা এবং গান করছিলেন।
দেশে ফেরার পর রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন থাকসিন। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ তাকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আগের তিনটি দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধের জন্য আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর তাকে ব্যাংককের রিমান্ড কারাগারে পাঠানো হয়।
সেখানকার কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বার্ধক্য বিবেচনায় থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে নির্দিষ্ট চিকিৎসা সরঞ্জামসহ আলাদা একটি উইংয়ে রাখা হবে। সেখানে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, যার প্রথম পাঁচ দিন তিনি তার ঘরেই থাকবেন বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া থাইল্যান্ডের সংশোধনাগার বিভাগের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছিলেন, থাকসিনের হার্ট, ফুসফুস এবং মেরুদণ্ডে সমস্যা ও রক্তচাপ-সহ আগে থেকেই কিছু সমস্যা রয়েছে এবং (কারাগারে) তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
থাইল্যান্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ন্যাশনাল পুলিশ চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রচুয়াব ওংসুক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘থাকসিন সিনাওয়াত্রার স্বাস্থ্যের অবস্থা কারাগার কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন করেছে এবং সেখানে রোগীর যত্ন নিতে পারে এমন ডাক্তার ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব থাকায় তাকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ‘দুর্নীতির’ মামলায় কারাগারে যাওয়া এড়াতে ২০০৮ সালে থাকসিন দেশ ছাড়েন। তারপর থেকে তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।
চস/স