রমজান মাসে ইফতারের সময় অনেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, এমন খাবার খেয়ে ফেলেন। যার মধ্যে ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড অন্যতম। এসব খাবার পরবর্তী সময়ে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য সময় যে পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়, রোজায় তার চেয়ে এক তৃতীয়াংশ কম খেতে হবে। বিশেষ করে সারাদিন রোজা রাখার পর আপনি ইফতারে কী কী খাবেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা ডুবো তেলে ভাজা খাবার যেমন- পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি পরিহার করুন। এই খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে। একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন না।
টকজাতীয় ফলে যদিও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, তারপরেও টকজাতীয় ফলে সাইট্রিক অ্যাসিডও থাকে। তাই রোজার সময় টক ফল বেশি খাবেন না।
সবচেয়ে ভালো হয় রাতের খাবার শেষ করে ফল খেলে। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে, যা ইফতারে খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া তৈরি করে। তাই টমেটো বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
ঝাল খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে। গরম খাবার যেমন চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করুন।
রোজার মাসে যেহেতু আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও সময়ের পরিবর্তন আসে সেহেতু আমাদের উচিত স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া এবং আশা করা যায় উপরের দেয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে আপনাদের রোজার মাসেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
চস/আজহার