রবিবার(৪ এপ্রিল) শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও ছয়জনের মৃতদেহ ভেসে উঠেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোর ৬টায় স্থানীয়রা নির্মাণাধীন ব্রিজের পশ্চিমপাড়ে প্রথমে দুটি লাশ দেখতে পায়।
এরপর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই’র এক সদস্যসহ আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এর আগে রাতে অজ্ঞাত আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের লঞ্চডুবিতে মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাকিম জানান, সকালে কয়লাঘাট এলাকা থেকে কলেজছাত্র তানভীর আহমেদ হৃদয় (১৯) ও অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ বায়েজিদে মাইক্রোর ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের
এরপর শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনা থেকে এনএসআই সদস্য ইউসুফ কাজী (৪০), সোহাগ আলী (৩২)সহ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ক্রেনের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি পানির ওপরে তুলে আনে। এরপর লঞ্চটির ভেতর থেকে একে একে আর ২১ জনের লাশ বের করে আনেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা জানান। রাতেই সেখান থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি নিহত পরিবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আহতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ভার নেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো. সালেউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চলমান রেখেছে।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর
চস/স


