spot_img

২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

দেশের জনগণের সেবা করা সবচেয়ে বড় কাজ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিএস প্রশাসন একাডেমির আইন ও প্রশাসন কোর্সের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দেশের জনগণের সেবা করা সবচেয়ে বড় কাজ।

সোমবার (১৫ মে) দুপুরে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৭, ১২৮ এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন তাদের এটুকু বলব, দেশের জনগণের সেবা করা এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। আজকে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার গতির যেন অব্যাহত থাকে। আমার এইটুকু দাবি।

তিনি বলেন, আমাদের বেতন-ভাতা যা কিছু সব জনগণের কাছ থেকে আসে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করা সবার কর্তব্য। এই কথা মনে রেখে সব সময় চলতে হবে।

জাতির পিতার একটি ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা, আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছে, চলবে। এ নিয়ে আমি কখনো পরোয়া করিনি। নিজের জীবনের জন্য আমার কখনো মায়া নেই। আমার একটাই কাজ, বাংলাদেশকে গড়ে তুলে দিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জীবন দিতে চাই।

তিনি বলেন, একজন মা যেমন একটি সংসারকে আগলে ধরে সবার ভালো দেখতে চান, আমি কিন্তু সেই মানসিকতা নিয়ে দেশটাকে পরিচালনা করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এখান থেকে যেন আর আমাদের পিছিয়ে যেতে না হয়। সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী অপচয় রোধের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে কৃচ্ছ্রতা সাধনের করারও পরামর্শ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল। তা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামাতে পেরেছি। অন্তত আরও ২ থেকে ৩ শতাংশ আমাদের নামাতেই হবে।

তিনি বলেন, অতি দারিদ্র্যের হার যা ২৫ দশমিক ৯ ভাগ ছিল, তা আমরা এখন ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। কিন্তু আমরা চাই না বাংলাদেশে একজন মানুষও অতি দরিদ্র থাকুক। এটাকে একেবারে শূন্যের কোটায় আমরা নামিয়ে আনতে চাই। কাজেই কোথায় এখনও এ ধরনের মানুষ আছে, আমরা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাঠামোগতভাবে, খাদ্য উৎপাদনের দিক থেকে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, ডিজিটাল সেবা, প্রযুক্তি, সব দিক থেকে আজ বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন আমরা নিয়ে এসেছি। এটা যেন ব্যাহত না হয়। কারণ আমার একটা আশঙ্কা আছে। ১৯৭৫ সালে (যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে) যখন সমস্ত কিছু কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে জাতির পিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এমনকি যে চালের দাম ১০ টাকায় উঠে গিয়েছিল সেই চালের দাম তিন টাকায় নেমে এসেছিল। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে উন্নীত হলো, যখন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলো, মানুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলো, আমরা এগিয়ে যাব, ঠিক সে সময় কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটল। আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

তিনি বলেন, ২১ বছর, পরে আবার আট বছর, এই ২৯ বছর জাতির জীবনে উন্নয়নের ধারাটা একদম থেমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আজ ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশকে একটা জায়গায় আমরা আনতে পেরেছি।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss