spot_img

১৩ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার
২৭শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

বাণিজ্যকে আমরা রাজনীতির সাথে মিলাচ্ছি না: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাণিজ্যকে আমরা রাজনীতির সাথে মিলাচ্ছি না। ভারত, মায়ানমার কিংবা পাকিস্তান যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি, আমদানি খরচও তুলনামূলকভাবে কম। সে জন্য রপ্তানি করতে আগ্রহী প্রতিবেশি দেশগুলোকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

আজ (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা সাইলোর সার্বিক কার্যক্রম অগ্রগতি এবং বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এসব কথা বলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আজকে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা সাইলোর সার্বিক কার্যক্রম এবং বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। পতেঙ্গা প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমাত সম্পন্ন সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার নির্মাণ কাজ আগামী জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। সামনে বর্ষা, বৃষ্টিতে সাইলো নির্মাণের কাজে নানা চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে কিভাবে সাইলো নির্মানের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রমে খাদ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বহুগুণে রেড়ে যাবে।

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ দুর্যোগ কবলিত দেশ। এবারের আমন মৌসুমে অকাল বন্যা খাদ্য উৎপানকে মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা মূলত অভ্যন্তরীণ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছি। সে জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।

বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশীয় বাজারে চালের দাম কমছে না এ প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চালের দাম একদম কমছে না তা সঠিক নয়। দেশে মোটা চালের দাম প্রায় ৫ টাকা কমেছে। এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারিভাবে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ থেকে চালে দেশে এসেছে। কিছু কিছু দেশ থেকে আমাদানি কার্যক্রম চলমান আছে। আশা করছি চালের দাম ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।

আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্যের উপর কোন প্রভাব পড়বে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার আরো বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আওতায় দেশের প্রায় ৫০ লাখ খেটে খাওয়া মানুষকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। প্রতি কেজি চালের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রমাজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss