spot_img

১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অনলাইন ডেস্ক

সর্বশেষ

ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে রাতভর দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলে। এতে উভয় পক্ষের ২০এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাতভর চলতে থাকে। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে শুরু করে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা যায়।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসংবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে হলের শিক্ষার্থীরাও বেরিয়ে আসে।

দীর্ঘ সময় ধরে দফায় দফায় দুইপক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। ইট-পাটকেল ছোঁড়াসহ নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকায় রাতভর উত্তেজিত অবস্থায় দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩০টির মতো সাউন্ড গ্রেনেন্ড ছুড়ে। কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ।

রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপরও দুপক্ষের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত অবস্থায় নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান করে।

রাত সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসে। দ্বিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আবার শুরু হয়।

সাড়ে ১২টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা এবং প্রোভোস্ট স্টান্ডিং কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

রাত ২টায় নীলক্ষেত এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে কমে আসে। রাত ৩টা নাগাদ শিক্ষার্থীরা প্রস্থান করে। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকে।

রাতভর সংঘর্ষে দুপক্ষের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরমধ্যে ২০এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রবিবার উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের কাছে ৫দফা দাবি নিয়ে যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় অধ্যাপক মামুন আহমেদের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিকালে রাজধানীর সাইন্সল্যাবসহ নানা জায়গা অবরোধ করে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss