ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা, নিরীহ ছাত্রদের নির্যাতনসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অপরাধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেরাই তৈরি করেছে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯। তাদের তৈরি আইনের ফাঁদে নিজেরাই আটকে গেছে।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) শুক্রবার বেলা ১১টায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফাসংবলিত লিফলেট বিতরণ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদল এখন থেকে আর শোডাউনের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। শোডাউন থেকে বের হয়ে আসছে ছাত্রদল। কোনও ব্যানার, ফেস্টুন, আধিপত্য বিস্তার করা—এ সবে বিশ্বাস করে না। নতুন ধারার রাজনীতি উপহার দিতে ও বিভীষিকাময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে ফেলতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েও যে সকল কর্মীরা রাজপথ ছাড়েনি এবং দলীয় ভাইয়ের কাছ থেকে মৃত্যু দেখেও হাত ছেড়ে যায়নি এমন কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।’
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রিয়াদ, শাকির আহমেদ, এইচ এম আবু জাফর, যুগ্ম সম্পাদক এম এম মাসুদ, আবদুল জলিল আমিনুল, রিয়াজ আনোয়ার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, আনিচুর রহমান, রিয়াজ হোসেন, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক মওদুদ হোসেন মঈন, সাবেক গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলম। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী, সদস্যসচিব জাকারিয়া হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফাসংবলিত লিফলেটে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সম্প্রতিমূলক রাষ্ট্রসত্তা ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠনসহ আরও ২৯ দফা আছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
চস/স