জাতীয় শহীদ মিনার ও শাহবাগ এলাকায় আজ রবিবার দুইটি বড় রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এতে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন, সায়েন্স ল্যাব, দোয়েল চত্বর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। আয়োজক দল দুটি নগরবাসীর কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে।
রাজধানীর শহীদ মিনারে আজ বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য এনসিপির সমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের রূপরেখা ও ইশতেহার পাঠ করা হবে বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে আমরা দেশজুড়ে পদযাত্রা করেছি। ৫৯টি জেলায় মানুষের সঙ্গে কথা বলে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরি করেছি। এই রূপরেখা ও রাষ্ট্র ভাবনার ঘোষণা আমরা শহীদ মিনার থেকেই দেব।”
নাহিদ আরও বলেন, “জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন ও গণপরিষদ গঠনের দাবিও আমরা রাখব। পাশাপাশি বিচার-সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিও তুলে ধরা হবে।”
তিনি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে সরকার যদি জুলাই সনদের বিষয়ে সুরাহা করে এবং ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে, তবে তা হবে সারা দেশের মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানানো। এনসিপির তরফ থেকে তরুণদের জন্য পরিকল্পনা, অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়েও ইশতেহারে প্রস্তাব দেওয়া হবে।”
একইদিন শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল জানান, “মঞ্চ তৈরি হবে শাহবাগ থেকে বাংলা মটরের দিকে, আর শাহবাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়জুড়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। কয়েক লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “শহীদদের স্মরণ ও জুলাই আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ সম্পর্কে সচেতনতা জানিয়ে ছাত্রদল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “প্রথমে শহীদ মিনারে সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। পরে এনসিপির অনুরোধে স্থান পরিবর্তন করে শাহবাগে আনা হয়। কর্মদিবসে ঢাকায় জনসমাগম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে জেনেও আন্দোলনের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সমাবেশ করছি। এজন্য নগরবাসীর কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি।”
চস/স