spot_img

৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

কিউইদের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে লুক রনকি

বছর দুয়েক ধরেই নিউ জিল্যান্ড দলে নানা ভুমিকায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন লুক রনকি। এবার তিনি পেলেন আরও বড় ও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। আগামী মৌসুমের জন্য কিউইদের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে।

সাবেক ব্যাটসম্যান পিটার ফুলটনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রনকি। ঘরোয়া দল কেন্টারবুরির প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য গত জুলাইয়ে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ ছেড়ে দেন ফুলটন।

এর আগে নানা সময়ে কিউইদের কিপিং ও ফিল্ডিং দেখভাল করছিলেন রনকি। তখন টুকটাক কাজ করেছেন ব্যাটসম্যানদের সঙ্গেও। সেসময় তার সংস্পর্শে ব্যাটসম্যানরা দারুণ উপকৃত হয়েছেন। রনকির ক্রিকেট মস্তিষ্ক, ট্যাকটিকাল জ্ঞানের গভীরতা ও ইতিবাচক মানসিকতার কথাও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে জানতে পেরেছে বোর্ড। সেসব তার পক্ষে গেছে এই দায়িত্ব পাওয়ায়।

নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে ৩৯ বছর বয়সী রনকি বেশ উচ্ছ্বসিত।

“ আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয় দলের সঙ্গে কাজ করে সত্যিই উপভোগ করেছি। এবারের গ্রীষ্মে পূর্ণকালীন দায়িত্ব পাওয়া দারুণ ব্যাপার।”

“ আমাদের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া বড় এক সম্মান এবং ছেলেদের খেলায় উন্নতিতে সাহায্য করতে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে আমি মুখিয়ে আছি।”

সাবেক এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড দুই দলের হয়েই। তার জন্ম নিউ জিল্যান্ডে, ছেলেবেলায় চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে বেড়ে ওঠা ও ক্রিকেটের শুরু।

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন অস্ট্রেলিয়ার হয়েই। নিজের চতুর্থ ওয়ানডেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিফটি করেন ২২ বলে। তবে কিপার হিসেবে ব্র্যাড হাডিনে ওপর দলের আস্থা বেশি ছিল বলে ওই ম্যাচের পর আর ওয়ানডেতে সুযোগই পাননি রনকি। ২০০৮ ও ২০০৯ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। সেখানেও প্রতিভার ঝলক দেখিয়ছেন, কিন্তু সুযোগ মেলেনি আর।

ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করার আশায় পরে তিনি পাড়ি জমান নিউ জিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয় জন্মভূমির হয়েই, ২০১৩ সালে। এই দফায় বেশ সফল ছিলেন। কিউইদের হয়ে খেলেন ৮১ ওয়ানডে ও ২৯ টি-টোয়েন্টি। ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান, স্বপ্নের টেস্ট অভিষেকও হয়ে যায় ওই বছর। খেলেন ৪টি টেস্ট।

ওয়ানেডতে দুটি বিশ্বরেকর্ডে নাম আছে তার। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডানেডিনে ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর গ্রান্ট এলিয়টের সঙ্গে মিলে গড়েছিলেন ১৮০ বলে ২৬৭ রানের অবিশ্বাস্য জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে এখনও তা বিশ্বরেকর্ড। রনকি করেছিলেন ৯৯ বলে অপরাজিত ১৭০ রান, সাত নম্বরে নেমে যা সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড।

২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। তবে এরপরও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় বেশ ভালো চাহিদা ছিল তার। সবশেষ গত মার্চে খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss