না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পাওলো রসি। ১৯৮২ বিশ্বকাপজয়ী ইতালির কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকার ৬৪ বছর বয়সে চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে। আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম।
ইতালির সংবাদমাধ্যম আরএআই স্পোর্টে ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে কাজ করতেন রসি। তারা মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমটির উপস্থাপক এনরিকো ভারালের টুইট, ‘খুব দুঃখের দিন। পাওলো রসি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পাবলিতো আমাদের জন্য অবিস্মরণীয়, ’৮২ বিশ্বকাপে সে আমাদের ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধেছিল। শান্তিতে ঘুমাও পাওলো।’
জুভেন্টাস ও এসি মিলানে খেলা রসি সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন। ১৯৮২ বিশ্বকাপে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। জুয়ায় জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ইতালিকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে প্রথম গোলটি ছিল রসির।
তবে ‘পাবলিতো’ নামে খ্যাত রসি অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বে (কোয়ার্টার ফাইনাল) ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের জন্য। টেলে সান্তানার সেই ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিততে না পারা সেরা দলগুলোর একটি।
সক্রেটিস, জিকো, জুনিনহো, ফ্যালকাও, এডের, সের্জিনহোদের মতো ‘বল প্লেয়ার’দের নিয়ে গড়া সেই ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইতালি, হ্যাটট্রিক করেছিলেন রসি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি। ইতালিকে সে বছর বিশ্বকাপ জেতানোর পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন রসি। জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অরও।
ইতালির হয়ে ৪৮ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন রসি। বুট তুলে রাখার পর কাজ করেছেন ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে। তিন সন্তানকে রেখে সেই রসি চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।
ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জন্মভূমি ইতালিতেই কাটিয়েছেন রসি। জুভেন্টাসকে দুবার সিরি’আ জেতানোর পাশাপাশি ১৯৮৪ সালে জিতিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লিগ)।
চস/এএম