শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের। বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি এদিন পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার বনে গেলেন। রুবেল হোসেনের করা শেষ ওভারে হাঁকালেন ৪টি ছক্কা। জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বর। তবে শেষ রক্ষা হলো না। রুবেলের এই ওভার থেকে আসে ২৭ রান। রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই। যেখানে ৩ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
দুই দলের এই ম্যাচের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ছিল প্রাইম দোলেশ্বর। সমান ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রাইম ব্যাংক। এই ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দোলেশ্বরকে টপকে শীর্ষে উঠে গেল তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়রা। দলীয় জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন:- দলগত প্রচেষ্টায় ডিপিএলে গাজীর তৃতীয় জয়
শাকিলের ৫ উইকেট শিকারের ম্যাচে শেখ জামালের সহজ জয়
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে প্রাইম ব্যাংক। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ওপেনার রনি তালুকদার কোনও রান না করেই ফিরে যান। আরেক ওপেনার তামিম আউট হন ৮ রান করে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন কুষ্টিয়ার দুই ব্যাটসম্যান বিজয় ও মিঠুন। আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো বিজয় আজ থামেন ২৯ রানে। আরাফাত সানি জুনিয়র ৫ রান করে আউট হলে খানিক বিপাকে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।
সেখান থেকে ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মিঠুন। পরে আউট হন ৫৫ রান করে। ৫০ বলের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। শেষদিকে নাহিদুল ইসলামের ১৮ বলে ২০ ও অলক কাপালির ১৪ বলে ২৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক।
লক্ষ্য টপকাতে নেমে ২২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে প্রাইম দোলেশ্বর। এরপর মার্শাল আইয়ুব (২২), ফজলে রাব্বি (২১), শরিফউল্লাহ (১৯) রানের দেখা পেয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ১ রান করে আউট হন হার্ডহিটার শামীম পাটোয়ারিও। আজ সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক ফরহাদ রেজাও। জাতীয় দলের দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামকে খেলতে খেই হারান তারা। শেষ ওভারের আগে রুবেলও ছিলেন অনবদ্য।
৯ উইকেট হারানো দোলশ্বরের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩১ রান। ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন রাব্বি। আগে বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া জাতীয় দলের এই পেসার রুবেলের উপর দিয়ে ধ্বংসলীলা চালান। প্রথম বলেই ছয় হাঁকান রাব্বি, পরের বলে ২ রান। এরপর টানা তিনটি ছয়। শেষ বলে জয়ের জন্য ৫ রান প্রয়োজন পড়লে ১ রান নিতে পারেন তিনি। এতে ৩ রানে জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
রাব্বির অপরাজিত থাকেন মাত্র ১২ বলে ৩৮ রান করে। ৪টি ছক্কার পাশাপাশি ২টি চার মারেন তিনি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বল হাতে মুস্তাফিজ ৩টি, শরিফুল আর রুবেল নেন ২টি করে উইকেট।