টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০০ রানের অনন্য মাইলফলক ছুঁলেন মুশফিকুর রহিম। ৮১ টেস্টে এ রেকর্ড গড়লেন তিনি। চলমান শ্রীলঙ্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের আজ চতুর্থ দিনের খেলায় আজ এমন কৃতি গড়লেন টাইগারদের সাদা পোশাকের সাবেক দলপতি। অনেকদিন ধরেই অফ-ফর্ম আর রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে গুরুতপূর্ণ সময়ে আউট হওয়া নিয়ে সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি। তবে ঘরের মাঠে যেন আরেকবার জ্বলে উঠে নিজের জাত চেনালেন টেস্টে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ৩ টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক।
লড়াইটা ছিল এতদিন ছিল তামিম ইকবাল আর মুশফিকের মধ্যে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি শুধু রদবদল হচ্ছিল এ দুজনের মধ্যে। কখনও তামিম আবার কখনও বা মুশফিক। এবার তামিমকে ছাড়িয়ে নিজেকে এক নম্বরে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা মুশফিক।
চলতি টেস্টের আগেও সবার উপরে ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তবে প্রথম ইনিংসে ওপেনার তামিম ১৩৩ রান করায় হাতবদলের নিয়ম মেনে মুশফিককে ছাড়িয়ে যান। তবে দেশসেরা ব্যাটার রিটায়ার্ড হার্ট হলে আবারও তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া সুযোগ কাজে লাগালেন ৩৪ টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মুশফিক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯৩২ রান নিয়ে পাঁচে খেলতে নামেন মুশফিক। ব্যাটে ৬৮ রান আসার পরই রেকর্ডের বইয়ে নাম লেখান তিনি। ৮১ টেস্টের ১৪৯ ইনিংসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজারি রানের ক্লাবে নিজেকে নিয়ে গেলেন তিনি।
আরেক বাংলাদেশি যে কয়েকদিন বাদেই এমন কৃতি গড়বেন সেটা না বললেও চলে। তামিম ইকবাল আছেন দেশের হয়ে টেস্টে রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়তে। ১২৬ ইনিংসে এ ওপেনারের রান ৪৯৮১। এ সিরিজেই হয়তো তিনিও ঢুকে যাবেন পাঁচ হাজারি রানের ক্লাবে। এখনও যে অপরাজিত আছেন তিনি। আর ৪০২৯ রান নিয়ে তিনে আছেন সাকিব আল হাসান।
সাদা পোশাকে মোট ২৬ অর্ধশতকের পাশাপাশি ৭ টি সেঞ্চুরি আছে মুশফিকের নামের পাশে, গড় প্রায় ৩৭ রান। ২০০৫ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয় তার।
চস/আজহার