ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ তারিখ) সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের একটি বিশাল মিছিল শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয় এবং এখানেই তাদের কর্মসূচির ইতি ঘটে।
মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা- ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ম্যাঁকোর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপন করা, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে দেয়াসহ কয়েক দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এসব দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন: ইরফানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ নভেম্বর
ফরাসি প্রেসিডেন্টর এই অবস্থানের প্রতিবাদে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের হিড়িক পড়ে গেছে। অনেক খ্যাতনামা চেইন শপসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফরাসি পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাকালে এই বর্জনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আঁচ করতে পেরে আরব দেশগুলোর প্রতি পণ্য বর্জন বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ফ্রান্স।
চস/স