ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করবে। সেজন্য পাইকারিতে ১০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সেটির প্রভাব এখনো পড়েনি খুচরা বাজারে।
দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে গত সপ্তাহে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সবমিলিয়ে এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তবে গতকাল সেই দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রায় পাঁচ ধরনের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এরপর আকারভেদে ৯৫, ৯৭, ৯৮ ও ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির অনুমতির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দু’দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ এখন কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেটির প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও। গতকাল খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সরবরাহও ছিল আগের চেয়ে বেশি। আড়তগুলো ঠাসা ছিল পেঁয়াজের বস্তায়।
খাতুনগঞ্জের প্রসিদ্ধ পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসাস কাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে ১০টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে আরও কমবে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। কিছুদিন পরেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে। তখন আগের দামেই পেঁয়াজ খেতে পারবেন ভোক্তারা।’
তবে পাইকারি বাজারে কমলেও সেটির প্রভাব এখনো পড়েনি খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে তিন আকারের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ১১০টাকায়। মাঝারি মানের পেঁয়াজ ১২০ ও বড়টা ১৩০টাকায় কিনতে হচ্ছে।
পাইকারি বাজারের সঙ্গে সমন্বয় না করায় হতাশ ক্রেতারা। গতকাল দুই নম্বর গেটে পেঁয়াজ কিনতে কিনতে গৃহবধূ জাহানারা বেগম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে একটু বাড়লেই খুচরা বাজারে মুহূর্তেই দাম বেড়ে যায়। কিন্তু পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরা বাজারে দাম কমে না। তখন নানা অজুহাত দেখানো হয়।’
তবে পেঁয়াজ বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন জানান, পাইকারি বাজারে মাত্রই কমেছে। খুচরা দোকানিরা কয়েকদিন আগেই পেঁয়াজ কিনে রেখেছে। সেজন্য তাৎক্ষণিকভাবে কমানো সম্ভব নয়, কেননা বেশি দামে কিনেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কমবে দাম। সূত্র: পূর্বকোণ
চস/স


