সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় কয়েক যুবক-যুবতি টিকটক ভিডিও ধারণ করার সময় তাদের বাধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক, আহমদ আলীর ছেলে মান্না ও তার সহযোগিরা। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মামুনের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ভাঙা ইট-পাথর, কাচের বোতল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন ও সজিব নামের তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে। আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় ছাতক, গোবিন্দগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষকারীরা গোলচত্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করেছে। একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষে একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে সেই পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
চস/আজহার