spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ

তামিমের বরিশালকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুশফিকের ঢাকা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে উত্তীর্ণ হয়েছে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকা। সেই সাথে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো তামিমের বরিশাল।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলী রাব্বির অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান করে মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফিফ হোসেনের অর্ধশতকের পরও ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থেমে যায় বরিশালের ইনিংস।

১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সাইফ হাসান (১২) ও পারভেজ হোসেন ইমন (২)। ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের রান তুলতে পারছিলো না বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। ওভার প্রতি রান রেট বাড়তে থাকে। তামিম ইকবাল ২৮ বলে ২২ রানের ধীর গতির ইনিংস খেলে দলীয় ৫৯ রানের মাথায় বিদায় নেন।

চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটিতে বাঁধেন আফিফ হোসেন। ব্যাট চালিয়ে রান তুলতে থাকেন আফিফ। তবে তৌহিদ হৃদয় সেই তাল মিলিয়ে চলতে পারেননি। তৌহিদ ১২ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ শূন্য রানে পরপর দুই বলে আউট হলে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে বরিশাল।

দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে আফিফের ব্যাট। ৩২ বলে অর্ধশতকে করেন তিনি। তবে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে আফিফ আউট হলে বরিশালের জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৫) চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি।

শেষ ওভারে জয়ে জন্য দরকার ছিলো ২০ রান। তবে মুক্তার আলীর করা সেই ওভারে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। ৯ উইকেটে ১৪১ রানেই আটকে যায় বরিশালের ইনিংস।

ঢাকার মুক্তার আলী ও শফিকুল ইসলাম ৩টি, আল আমিন ২টি এবং রবিউল ইসলাম রবি ১টি উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখের (৫) উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর আল আমিন রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন। সাব্বির রহমান ৮ রানে আউট হলে ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ঢাকা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বি এই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৫০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা দূর করেন তারা। তবে রান তোলার গতি ছিলো ধীর। মুশফিক ৩০ বলে ৪৩ রান করে আউট হন।

আকবর আলী ৯ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন ইয়াসির আলী। ৩৯ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ইয়াসির ৪৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হন।

বরিশালের মেহেদি হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১টি করে উইকেট নেন।

 

চস/এএম

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss